কোন বিশেষ মুহুর্তের ঘ্রাণ-
কিংবা বসন্তের রঙ্গীন ফাগুন,
আমাকে এতটা উত্তেজিত করে না-
আমি অণু’কেই ভালোবাসি।
চিহ্ন বিহীন নিরাকার ভালোবাসা-
হৃদয় পূর্ণ করে রাখি বারো মাস;
উচ্চারিত সকল শব্দ সমূহে-
জীবনের পদক্ষেপ সম্পাদনায়,
এমনকি-
অণু’র তাচ্ছিল্যের চিৎকারে।


এখনও সেই কৈশোরের সুরে-
প্রতিদিনের নতুন ভাব বিন্যাসে,
ঈশ্বরের নব কৃপায় ভালোবেসে যাই-
অসহায়ের মতো অবিরাম।
অণু’র মানচিত্রের সৌন্দর্যে যদিও; অবহেলা নেই-
তবু; ভালোবাসা রয়ে গেছে, বয়ে গেছে,
গভীরে লুকিয়ে থাকা মানবীয় রংধনুর-
নিরবে বিলিয়ে যাওয়া স্নেহের ভাণ্ডারে।
যেখানে জ্বলে উঠে দূরত্ব-
দৈত্য আর মানুষে; আমার ঘনিষ্ঠতা-
সেই আলোর পাহাড়ে আঁধার তাড়ায়।


নিউরণের রোমান্টিক স্নায়ু গুলো হাত বাড়ায়-
অণু’র প্রসারিত মানবীয় আত্মায়,
প্রশংসা করে নিরাকার সৌন্দর্যের-
চুরি করে নিঃসঙ্গ চোখে তৈরী প্রেম,
মূর্ত হয়ে উঠে চঞ্চল ভালোবাসা;
ছুটে যেতে চায়-
অণু’র যত্মশীল আত্মার কোলে,
যদি ভালোবাসে;
যদি ডানা মেলে প্রেম-
মন ঘিরে নামের বানান অবিরাম।


অণু’র মিষ্টি ভাষায় সাম্য আচরণে,
শরীরের সৌন্দর্য মানুষের; বর্জ্য মনে হয়-
উত্থিত ভালোবাসার ব্যথায়, হৃদয়ের ভাঁজে ভাঁজে
যখন ঝরে অণু’র স্নেহময় প্রেম; নিরাকার-
প্রশান্তি ছড়ায় ব্যকুল আত্মায়।
অহরহ সভ্যতার উলঙ্গ নৃত্যের প্রতিযোগীতায়-
একমাত্র অটল মায়াবী মানুষ, মানবী-
আমার অজস্র ভাবনায়, অজস্র চিন্তনে-
প্রতিটি নতুন দিনের নতুন প্রেম-
অণু’ই একমাত্র নারী।।