আমি আঁধারের বুকে কেবল আঁধার'ই দেখি
তবু জোনাকির আলোয় খোঁজি অণু'র ভালোবাসা
নিস্তব্ধ নিরব অভিমানে সময়ের পাহাড়
সবুজ পাতা আর ফুল থেকেও ঝরছে আঁধার
চোখের কর্ণিয়ায় সর্ষের ফুল দোলে
আজকাল স্বপ্ন গুলো অণু'কে ঠিক ছুঁই না
নিকট অতীতের মতো বর্ণ বৈভবে
পরশু দেখেছি অণু'র ধুসর বাক্সে
আমার মধুময় স্মৃতি;
এখন ধুসর পৃথিবী আমার
ক'দিন আগেও পানপাতা বটপাতা রক্তজবা
আর আমার বর্ণিল আকাশ ছিলো
চাঁদের আলোতে ছিলো নক্ষত্রের মেলা
অবেলায় অগণতি জয়ের স্রোতে মহা-প্লাবনে
আমার ব্রহ্মাণ্ডে এখন পূর্ণ গ্রাস গ্রহন
শান্তনার আঁচলে বাঁধা স্বপনের পুঁটুলি
আমার গর্বের সঞ্চয় প্রেম-প্রীতি-ভালোবাসা
নীলাভ শিখায় দীর্ঘশ্বাসের আগুনে
অণু জেনে ও জানে না আগুনের রঙ কি
জানে না রাত জাগা চোখের রঙ; স্বপ্ন কথন
জানেনা হৃদয়ের উত্তাপে সেদ্ধ মন
জানেনা নির্জন নিস্তব্ধ পৃথিবীতে জেগে থাকা
ভালোবাসার নকশীকাথায় ফুল তুলতে জানেনা
এখন আর;
সময়ের সদাচারে নিমগ্ন জয় সমাচার
আমাকে অহরহ বুঝিয়ে দিবানিশি
জন্মান্তরের গল্প বলে কবিতায়
আমি এখন সবুজ পাতা আর ফুলের বর্ণ বুঝি না
ধুসর পেরিয়ে গেছে আঁধারের দিকে
তবু শন শন দখিনা হাওয়ায় অণুর ঘ্রাণ খুঁজি
প্রশান্তি খুঁজি কষ্টের শেষ সীমানায়
আর অণুকে খুঁজি জোনাকির আলোয়
আঁধারে ঢাকা রহস্যের অন্তরালে
যদিও জেনে গেছি
ইচ্ছে পূরনের প্রতিশ্রুতি ঈশ্বরের নয়
তবু প্রাচীন বিশ্বাসে অমানিশা কাটার প্রত্যাশায়
আজো আঁধারে স্বপ্ন দেখি
কল্পনায় তারা দেখি
মন নিরুদ্দেশ হয় অণু'র অরণ্যে।


২৬•০৪•২০১৯;০১:৪৬, ঢাকা, বাংলাদেশ।