অণু; পঞ্চ ইন্দ্রিয় পঞ্চ মন এক আত্মায়
অত্যন্ত জটিল বিভেদপূর্ণ শরীর আমার
তাঁর মধ্যে আমার আমি কে?
নিজেকে চিনতে পারিনি আজও
অথচ স্নেহ শ্রদ্ধাময় আবেগপূ্র্ণ মন
বিকশিত করতে পারিনি মানবতায়
নিথর আমিকে কতবার স্পর্শ করেছি
দেখিনি আত্মার গভীরে আনন্দের ধ্বনি
আমার আমিকে খুঁজতে গিয়ে;
নিজেই ব্যাধিগ্রস্ত অসহায় আজ
যেন শরীটাকে বহন করে চলেছি মাত্র
অধিকারের কোন লেশ নেই
আত্মার রহস্যময় শব্দ তরঙ্গ গুলো
বারবার স্তব্ধ করে আমায়
আমি বাকরুদ্ধ হই
জন্মের অজস্র প্রতিশ্রুতি ছিলো আমার
শ্রুতি মধুর অহংকারের কাছে বিলুপ্ত প্রায়
ইচ্ছা কথা প্রতিশ্রুতি কিছুই রাখতে পারিনি
লজ্জার আবরনে ঢেকেছি অবয়ব
তাহলে কি জন্ম হয়েছিলো অক্ষম সময়ে
মানবতার স্বর্ণালী রেখা টানার আগেই
কালবৈশাখি ঝড়ে আগাম বর্ষার ঘোলাজল
অস্পষ্ট করে দিলো বর্ণিল প্রাণ?
কতবার চেষ্টা করেছি নিজেকে চেনার
কত যুক্তি উপ-যুক্তি ঘেটে ঘেটে
কেটেছে সময়ের শাখা প্রশাখা
কিন্তু আমার আমি কে?
খুঁজে পেলাম না স্বার্থগত বৈরনিগ্রহ মনে
বারবার আত্মার গভীরে গিয়ে দেখলাম
পঞ্চ ইন্দ্রিয় পঞ্চ মনের ব্যঞ্জন কর্মে
সেখানে কোন আলোক বর্ণ নেই
আমি দিপ্তিহীন প্রভাশূণ্য এক প্রেতাত্মা।