সমরেশ সুবোধ পড়্যা, জন্ম ৮ই ফেব্রুয়ারী ১৯৬৭, ভারতবর্ষের একটি অঙ্গরাজ্য পশ্চিমবঙ্গের অন্তর্গত অধুনা পূর্ব মেদিনীপুর জেলা’র জরারনগর গ্রামে। কৃষক পরিবারে জন্ম। মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী পিতা - সুবোধ চন্দ্র এবং মাতা ভগবতী দেবী। শিক্ষায়  -  স্নাতক (সাম্মানিক, হিসাবশাস্ত্র, বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়) ১৯৮৮ খ্রীস্টাব্দে । কর্মে -  কবি ১৯৯০ সন থেকে মুম্বাইতে একটি প্রাইভেট ইঞ্জিনিয়ারিং কো. তে প্রবন্ধক এর কাজে কর্মরত।


অষ্টম শ্রেণীতে প্রথম ছড়া লেখা শুরু। একাদশ শ্রেণীতে বিদ্যালয়ের " দেওয়াল পত্রিকা/ওয়াল ম্যাগাজিন' এ প্রথম কবিতা প্রকাশ পরে দ্বাদশ শ্রেণীতে বিদ্যালয়ের পত্রিকা'য় প্রথম গল্প প্রকাশ। পরবর্তী কালে চাকুরী জীবনে কর্মরত অবস্থায় পুজাবকাশে "শারদীয়া বোধন" ও কৃষকদের কৃষিগাঁথা "কৃষিপ্রেমী" নামে দুটি বার্ষিক পত্রিকা’র উদ্বোধনী সংখ্যা’য় সম্পাদনায় যুক্ত।  


অবসর সময়ে ছড়া ও কবিতা লেখেন। এছাড়াও লেখেন গল্প ও প্রবন্ধ । কিছু  ছড়া, কবিতা, গল্প ও প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে স্থানীয় মাসিক, ষান্মাসিক, বার্ষিক বিভিন্ন  পত্র - পত্রিকায় ।  রক্তদান, বৃক্ষরোপন, দূষণ রোধ, পরিবেশ দূষণ, প্রকৃত বন্ধু, দৃষ্টান্তমূলক সাজা চাই, সমাজ দূষণ, ভ্রাতৃত্ববোধ, কৃষকপ্রেম, সমাজ ভাবনা, মূল্যবোধ আর মানবতার কথা -  এই সব বিষয়ে মূলত লেখেন । গুণীজনের সঙ্গে আলাপচারিতায় ও বিভিন্ন কবিতার আসরে আর সাহিত্যবাসরে যোগদানে উত্সাহী । কবি  মাদক ও ধুম্র নেশা বিরোধী প্রচারক, পরিবেশ বন্ধু, একজন প্রকৃতিপ্রেমী, দেশপ্রেমী, সমাজপ্রেমী, বিশ্বপ্রেমী ।  


প্রায় ২৫টি বিভিন্ন অরাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান, সমাজসেবী সংগঠন, ক্লাব, কৃষি উন্নয়ন সমিতি, ফার্মার্স ক্লাব, বিভিন্ন উত্সব কমিটি, কৃষিমেলা কমিটি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বৃক্ষরোপন ও রক্তদান শিবির পরিচালনায় সক্রিয় যোগদান এবং ভুপতিনগর সাহিত্য পরিষদ ও খেজুরী সাহিত্য সম্মিলনী'র সদস্য।


কবি  সবাইকে ভালবাসেন । কবির কথায় :  সবাই বাঁচুক -  সবাই থাকুক। আপনি ভালো থাকুন আর সবাইকে ভালো রাখুন। প্রকৃতির স্থায়িত্ব - আমাদের দায়িত্ব। রক্তদান মহান দান - গাছ লাগান প্রাণ বাঁচান। .........মানুষের পাশে থাকতে চাই আর সবার ভালোর জন্য কিছু করতে আর লিখতে চাই। যতই পড়িবো, ততোই শিখিবো; যতোই দেখিবো, ততোই জানিবো এবং যতোই ভালোবাসিবো, ততোই ভালোবাসা পাবো।  - কবির স্মরণে মননে - মনীষীদের এই সার কথাগুলি । এইসব কল্পনা - জীবন আর জল্পনা - কবির প্রেরণা।

কৃষক সমাজের পরমবন্ধু তাই বিশ্বসেরা বিশ্ববন্ধু কৃষক দিবসে (২০শে ডিসেম্বর) গ্রামে কৃষিমেলা করেন । প্রতিবছর কৃষিমেলায় কৃষকদের উত্সাহিত ও পুরস্কৃত  করেন।  কৃষকদের জন্য একটি বাত্সরিক পত্রিকা "কৃষিপ্রেমী " সম্পাদনা ও প্রকাশ করেন ।   তাতে থাকে কৃষিকথা আর কৃষিগাঁথা, কৃষক ও কৃষক গৃহিনী আর তাদের লেখা ছড়া, কবিতা - কল্প-কাহিনী।


সংস্কৃত পন্ডিত আচার্য্য শ্রী পূর্ণেন্দু শেখরের একমাত্র কন্যা মীনাক্ষীর সঙ্গে ইং ১৯৯৫ সনের ২০শে মে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ।  এককন্যা শুচিস্মিতা এবং একপুত্র অর্চিষ্মান।