বৈশাখ-জৈষ্ঠ্য, আষাঢ়-শ্রাবন -
গ্রীষ্মের দাবদাহ আর বর্ষার প্লাবন।
ঝড় ঝঞ্ঝা আর সাথে দীর্ঘশ্বাস  -
কষ্টের দিন পার করি এই চার্-চারটি মাস।
ঘাম আর কাদার প্যাচ প্যাচানি -
আনন্দ উৎসবে ও আঁকি বন্ধনী।


আশায় থাকি দুর্যোগের হবে শেষ  -
অসহ্য যন্ত্রণার থাকবে না কোনো লেশ।
দেখে চারিদিকে কাশ ফুলের বাহার -
স্বপ্নে শরৎ! ভুলে যাই নিদ্রা আহার!
আনন্দে উৎফুল্ল মনে, দেহে এলো নতুন প্রাণ  -
মায়ের পুজোয় - সকল কাজ হয় আসান।


শুরু হবে আনন্দের কোলাহল -
ভিড় বাড়বে দোকানে - সুসজ্জিত হবে কত মহল।
নতুন কাপড় পরবো এবার - আমরা সবাই জানি -
পূজার আনন্দে সবাই সমান - কি গরিব কি ধনী।
নানান দেশে হয় এই উৎসব, নেই কোনো এক জাতি -
জাত-পাত, ভেদাভেদ ভুলে - সবাই এই উৎসবে মাতি।


ডাকি, এসো হে জগৎজননী, জগৎ মাতা -
এসো সুখের আগমনী, সকল বিপদের ত্রাতা।
ডাকি মাগো, তোমায় অঞ্জলি ভরে -
কয়েকটি দিন থাকো আমার ছোট্ট ঘরে।
সকল রোগ-শত্রু বিনাশ করে -
যেও আমায় বিপদমুক্ত করে।


সুখের সাগরে, ভাসতে চায় সবাই -
সারা জীবন, সুখসাগর খুঁজে বেড়াই।
অনেকে বঞ্চিত, জীবনের সকল সুখ থেকে -
তাদের রয়েছে শরীর, দুঃখের চাদর ঢেকে।
তাদের তুমি সুখী করো - এই আমার প্রার্থনা,
সুখের সাগরে যেনো ডুব দেয় একবার - ভুলে সকল যন্ত্রনা।
  
এসো মাগো - আর দেরি করো না  !