তুমি হাত ধরে আমায় যে পথে ফেলে গেছো
ঠিক সেইখানেই আমি পড়ে আছি,  
তুমি এগিয়ে গিয়েছো হাজার মাইল।


সেই এগিয়ে যাওয়া এত দ্রুত ছিল যে!  
সাইক্লোন কিংবা ঘূর্ণিঝড়ের গতিও
কিছু বুঝে উঠতে পারেনি।
আমি তো কোন ছাড়!


যেতে যেতে শেষবারের মত,
যে কথাটি বলেছিলে আমায়,    
তারপর থেকে আর কিচ্ছু শুনতে পাইনি।
কোন শব্দ কিংবা  পূর্ণাঙ্গ বাক্য,
কিচ্ছু না।
কথাগুলো আজীবন; ভীষণ তরতাজা  
আঙুল কাঁটা সদ্য রক্তের মত।


দেখো তারপর
আমার আকাশে আর মেঘ উড়েনি,
দুই চোখে বর্ষা নামেনি।  
অর্ধ মৃত হৃদয়ে ব্যথা অনুভব হয়নি।



তুমি যেখানে আমায় ফেলে গেছো!!  
সেইদিন থেকে আমার,
সেখানেই বসবাস।
আমার হাত পা মাথা জুড়ে শিমুল কড়াই,
শিকড় গজিয়েছে চুলে।


ঠিক আছে।  
ঠিক আছে।  
তুমি ফিরে আসবে সেই অপেক্ষা আর করবো না।
কিন্তু স্বর্গ নরকের তীব্র বিশ্বাস  
আমায় এক পা এগোতেই দিচ্ছে না।
তোমার অসুস্থতা এখন আমার মস্তিস্কে।
রোজ কত রকম ওষুধ খেতে হচ্ছে
বেঁচে থাকার জন্য।


ওগো প্রিয় আমার
একটু মুখ তুলে দেখো।  
দেখতে পাচ্ছ না?
চোখে জ্যোতি নেই কেন?  
অন্ধ হয়ে গেছো?
অন্ধ হয়ে গেছো তুমি?


তুমি বুঝি পৃথিবীর সব তাপ শুষে নিয়ে
পাথর হয়ে গেছো?
ঠিক আছে,    
তাহলে আমিও হবো পাথর মানবী।।