(কবিতা না ভেবে কিছু কথা জেনে রাখুন)


আগে থেকেই রাজা ও বংশের পূর্ববতী কিছু
কথা না বললে অপূর্ণ থেকে যাবে।
সেই রাজা গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া গ্রামের
শেখ লুৎফর রহমান ও সাহারা খাতুন
দম্পতির তৃতীয় সন্তান।
খোকা তার ডাক নাম ছিল,
তার দাদার নাম শেখ আব্দুল হামিদ।
গোপালগঞ্জের শেখ বংশ খুব সুপরিচিত ছিল
এর গোড়াপত্তন করেন শেখ বোরহান উদ্দীন,
শেখ বোরহান উদ্দীনের দুইটি ছেলে ছিল,
শেখ কুদরত উল্লাহ ও শেখ একরাম উল্লাহ।
শেখ কুদরত উল্লাহ ব্যবসা ও সংসার,ছোট
ভাই জমিদারির আচার বিচার করতেন।
প্রথমে শেখ বংশ অনেক ধনবান থাকলেও
পরবর্তীতে আর্থিক অবস্থা খারাপ হয়ে যায়।
শেখ বংশের এসব ঘটনা নিয়ে ঐ অঞ্চলের
চারণ কবিরা অনেক গান বেঁধেছিল।
১৯২৭ সালে ৭ বছর বয়সে সেই রাজা
গিমাডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হন।
১৯২৯ সালে গোপালগঞ্জ পাবলিক স্কুলে
তৃতীয় শ্রেণীতে ভর্তি হন।
পরে স্থানীয় মিশনারী স্কুলে ভর্তি হন।
১৯৩৪ সালে ১৪ বছর বয়সে সপ্তম শ্রেনীতে
পড়া অবস্থায় রাজা বেরিবেরি রোগে আক্রান্ত
হলে তার হার্ট দুর্বল হয়ে পড়ে।
কলকাতার তৎকালীন স্বনামধন্য সুপরিচিত
ডা.শিবপদ ভট্টাচার্য,এ.কে.রায়ের কাছে
চিকিৎসা নেন।এভাবে প্রায় দু’বছর চিকিৎসা
চলে,১৯৩৬ সালে রাজা চোখের রোগে
আক্রান্ত হলে চক্ষু চিকিৎসার জন্য আবার
কলকাতা যান।কলকাতায় তিনি ড.টি.
আহমেদকে দেখান।পরে কলকাতা
মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন।
সেখানেই তার দু'চোখের অপারেশন হয়
এবং তখন থেকেই রাজা চশমা ব্যাবহার
শুরু করেন।।।


                          চলবে-----------