একটা পাখি লেজ দুলিয়ে সা-রে-গা-মা গাইছিল,
গানের তালে মনের প্রাণে মালতীলতা দুলছিল।


আকাশে বেশ নীল ছিল, সূর্য্যিমামা হাসছিল,
আকাশজোড়া নীল চাদরে রামধনু এক আঁকছিল।


নীল আকাশের বুক চিরে দিকবলাকা উড়ছিল,
হারিয়ে যাওয়া পল্লীসুরে রাখাল বাঁশি বাজছিল।


খোকন সোনা একলা দাবায় মাটির পুতুল গড়ছিল,
পথের বাঁকে গাছের শাখে বৌ কথা কও ডাকছিল।


ক্লান্ত চাষি দিনের শেষে বাড়ির পথে ফিরছিল,
দূর সীমানায় নদীর তীরে সূর্য তখন ডুবছিল।


হঠাৎ দেখি ঈশান কোনে মেঘের ভেলা ভাসছিল,
আকাশ তখন মেঘের সাথে প্রেমের কথা বলছিল।


মনমাতানো করুন শুরে বাউল মাঝি হাঁকছিল,
মনকেমনের সন্ধ্যা বেলায় আকাশটা বেশ ডাকছিল।


ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি এলো গাছের পাতা দুলছিল,
আঁধার রাতে প্রদীপ জ্বেলে একফালি চাঁদ উঠছিল।


তখন আমার আনমনা মন মায়ের কথা ভাবছিল,
শান্ত চাঁদের স্নিগ্ধ আলোয় ফুলের মতো হাসছিল।


আদর মাখা মিষ্টি গলায় আমার কাছে ডাকছিল,
একলা থাকার গভীর রাতে আমায় ভালবাসছিল।


ঠিক মনে নেই কি ছিল ! হয়তো মনের ভুলছিল,
এসব কিছুই হয়নি সেদিন স্বপ্ন দেখার রাত ছিল!