সর্বনাশা ঝড়ের কাছে,
প্রার্থনা করে লাভ নেই কোনো
ও বরাবরই এমন প্রতিহিংসাপরায়ণ
আর, মহামারী!
ওর কথা যত না বলা যায়, ততই মঙ্গল
ঝড় আসে, ছিন্নভিন্ন করে চলে যায়;
কিন্তু মড়ক, দুষ্ট ঘুণপোকার মতো দীর্ঘস্থায়ী জীবনসঙ্গে থেকে যায়, রয়ে যায়, আমৃত্যু; অবিনাশী মারণ কর্কটরোগের মতো


খুব একটা দোষ দেওয়া যায় না
জিডিপির মতো তলানিতে ঠেকে যাওয়া আত্মবিশ্বাসটাকে-


তবে, যুগলবন্দীর বিরুদ্ধে আজ তো প্রথম নয়
"জলে কুমীর ডাঙায় বাঘ" তো সেই আবাদলগ্ন থেকেই-


সব ঘটনাই শিক্ষা দিয়ে যায়
তা, সে যতই নিদারুণ, নির্মম হোক না কেন
আজ এই যে, আকাশ-বাতাস জুড়ে
প্রাকৃতিক প্রতিহিংসার দমবন্ধ করা প্রতিবেশ,
এটা তো আমাদেরই নির্দয়, নির্বিচার, ধ্বংসফলাফল


আশ্রয়দাতা প্রকৃতিকেই,
দু'হাত দিয়ে দুরে সরিয়ে, ঠেলে ফেলে দিয়েছি-
পোষক পালনকর্তাকেই,
দু'পা দিয়ে ডলে-পিষে-মাড়িয়ে, এগিয়ে  গিয়েছি
গর্বিত পদসঞ্চারে
সভ্যঅগ্রসরের নামে এ অন্যায় জুলুম, এ ঘোর অনাচার করে গিয়েছি, জেনে বুঝেই, দিনের পর দিন-


তাই তো,
একটু একটু করে,
সম্পর্কহীন শীতল দূরত্বে পিছিয়ে গিয়েছি,যোজনপথ
তাই তো,
অকৃপণ প্রকৃতির স্নেহঅঞ্চল থেকে বঞ্চিত হলাম,আজ
তাই তো,
উৎকৃষ্ট মানুষের অবস্থা, সামান্য চামচিকের চেয়েও অসহায়-কষ্টকর-নিকৃষ্টতর


কতোটা সুন্দরী হলে তবে লোকে, তাকে সুন্দরবন বলে ডাকে
আর আজ, বুকটা খাঁ খাঁ করে ওঠে  
তার ধ্বস্ত,দীর্ণ, মাংসহীন, কঙ্কালপ্রায় চেহারাটাকে দেখে


হয়তো সময় লাগবে
তবে শপথ নিলাম আজ,
আবার, ফিরে যাবো,প্রকৃতিমায়ের কোলেই
কখনো আর নষ্ট করবো না,
কখনো আর ছিন্ন করবো না, তাঁর মায়াঘেরা, স্নেহছায়ার বাঁধন


আর, সঙ্গে মা থাকলে
কোন কাজটাই বা সাধ্যের বাইরে থাকতে পারে!
নিশ্চয়ই ঘুরে দাঁড়াবো, আমরা
ওই তো,
ওই তো দেখতে পাচ্ছি
নোনা পতিত জমিটার পূতিগন্ধময় আবর্জনা দু'হাতে সরিয়ে সরিয়ে,
আবার একটু একটু করে সোনারঙা আবাদে ভরে উঠছে
আবারও,
ঠিক আগের মতো
সবুজ বেণী দুলিয়ে,সেজে উঠছে সুন্দরী সুন্দরবন, আমার-