স্পর্শ করল সে, কেদার শিলা খণ্ডটি।  
আপনা হ’তে কেমন একটা ভালোলাগা ছড়িয়ে পড়লো  
নাস্তিক মানুষটির-সারা শরীর আর মন জুড়ে-  
হৃদয়ের পূর্ণ আবেগ আর ভালোবাসায়-জড়িয়ে রাখলো শিলা খণ্ডটিকে
অনেকক্ষণ;
অপার বিস্ময়ে হতবাক! প্রাচীন মন্দিরটির কারুকার্য দেখে।
এমন এক চরম প্রতিকূল পরিবেশ উপেক্ষা করে
অতদিন আগে কেমন করে নির্মাণ হল? এমন এক অপূর্ব স্থাপত্য!
ভেবে কূল পায় না-যুক্তি নির্ভর মনটি তার।  
দুর্গমতার হাতছানি আর সুন্দরতার টানে-এসেছিল সে।
ঈশ্বরে বিশ্বাসী মানুষটিও, পরম তৃপ্ত
হৃদয়ের পূর্ণ আকুতি আর ভক্তিতে।
ভক্তি আর সুন্দরতা মিলেমিশে একাকার।
অনুপম ভালোলাগায় জারিত হয় দুজনায়।
জনমানবহীন দুর্গম পাহাড় ঘেরায় স্বমহিমায় নির্বিকার-কেদার রাজা।
ঈশ্বর আছেন কি নেই? প্রশ্নটি, চূড়ান্ত অবান্তর মনে হয় দুজনার!