রামায়ণ হোক কিংবা মহাভারত
পিতৃসত্য প্রতিপালনের জন্যেই হোক  
কিংবা, কপট পাশা খেলায় হেরে যাওয়ার শর্তপূরণে,
নিঃসঙ্গ বনবাসের এক সুদীর্ঘ ক্লান্তিকর পর্যায় আছে, দু’জায়গাতেই  


লোকজীবনের কলকাকলি থেকে,
সমাজজীবনের এতদিনকার সহজাত ছন্দময় স্বাচ্ছন্দ্য থেকে,
সুদীর্ঘ স্বেচ্ছাশ্রমের বাধ্যতামূলক ছন্দপতনের  
যন্ত্রণাময় এক অধ্যায় নেমে এল জীবনে, হঠাৎই    


রাক্ষসের সঙ্গে মানুষের
যুদ্ধটা, সেই কোন আদ্যিকাল থেকেই  
শুধু কি আর কুটিল মন্ত্রণার কুটকাচালি?
তীর-ধনুক, গুলি-বন্দুক, কামান-মিসাইল আরও কত কি!


রাক্ষস
এবার পাল্টে ফেলেছে তার,
এতকালের চেনা যুদ্ধের ফন্দিফিকির  

কায়াহীন দুষ্ট আত্মা,
মানুষের শরীরে ভর করবে বলে
সুড়ঙ্গপথ খুঁজে বেড়াচ্ছে খালি-  
শ্বাস থেকে শ্বাসে; নিঃশ্বাসে-প্রশ্বাসে


চলো দোরে খিল দিই,  
বারো-চোদ্দ বছরের লম্বা সফর তো নয়,  
মোটে একুশটা দিন। দেখতে দেখতে কেটে যাবে-
  
রক্তবীজের বংশধর
মাটিতে পড়তে না পেলে,  
জন্মাবে আর কোথায়!


প্রতিপক্ষ না পেলে,
যুদ্ধটা, করবে আর কার সঙ্গে!  
আপনিই, অনাহারের উপোষে মরে যাবে, ক’দিনেই-    


তারপর...
দোর খুলে-
কু... ঝিক ঝিক ঝিক...
ঝলমলে আশাসকালে
সব্বাই মিলে সদলবলে  
হৈ হৈ করে বেরিয়ে পড়বো-  
উঁচু ওই পাহাড় চুড়োর রুপোলী বরফ কুড়োতে