অবুঝ মনের এটাই ভালোবাসা
মিনু গরেট্টী কোড়াইয়া (বৃষ্টিরানী)  


সামান্য সূর্যের আর কতটুকুই বা ক্ষমতা!  
তুমি না জ্বললে!  
সূর্যের আলো বড়জোর একটা আকাশ!  
আর তোমার আলো!
আলোয় আলোয় আলো আমার
মনের মহা আকাশ  
  
মন এমনই অবুঝ। সাধারণ যেভাবে ভাবে, সে ভাবে না, সেভাবে। সে হেঁটে চলে তারই, নিজ হাতে গড়া আপন কক্ষপথে।  


ভালোবাসার শক্তি এমনই;  
ভালোবাসার মায়া এমনই;


যাকে ঘিরে মন এমন আশায় আশায় আলোকিত, তাকে ঘিরে শঙ্কাও বড়ো কম নয়। ভয় হয় তাই, সে যদি  কখনো মুখ ফিরিয়ে নেয়! তবে, সত্যিই বড়ো আঁধার  নেমে আসবে যে! আমার আলোকিত সময় যে আঁধার হয়ে যাবে বড়ো অসময়ে-  


“যখন তুমি মুখ ফিরিয়ে থাকো
আমার আকাশ মেঘে থাকে ঢেকে
দিনের আলো আসে না তো ঘরে
ভর দুপুরেই সূর্য ডুবে বেঁকে।।"  


অবুঝ মন কিন্তু, এত সহজে মেনে নেয়না। অপেক্ষায় থাকে। পথ চেয়ে থাকে তারই পথ চেয়ে। আশায় আশায় তার আসার আশায়। কিন্তু হায়! অপেক্ষাই শুধু শুধু। অবশেষে, দিনের আলো নিভে আসে-  

“সাঁঝের বেলা সব পাখিরা ফেরে
সন্ধ্যা নামে যায় ফুরিয়ে খেলা
সকল পথিক ফিরে আপন ঘরে
মিছে আমার যায় ফুরিয়ে বেলা।।”


এই অন্ধকারেও যদি সে আসতো! তবে, আঁধার সরে আলো ফুটত এই ভাঙা ঘরে।
বিরহ যন্ত্রণাতেও কল্পনা বিলাসী মন রঙিন ছবি নির্মাণ করে চলে সারাক্ষণ। অসম্ভব, সম্ভব হবে বলে, মিথ্যে কুহকের মায়ায়  মজিয়ে রাখে নিজেকে।  

কিন্তু না, সে এমন আন্তরিক আকুতির মূল্য বুঝলো না। আর, বোঝাতে পারলাম না, নিজের অবুঝ মনটাকেও।


"আজও তুমি বুঝলে না তো ব্যথা
কিসের আশায় চেয়ে থাকি আমি
তোমার মুখের একটুখানি হাসি
মহাকাশের আলোর চেয়েও দামী।।"


মনের এমন এক অদ্ভুত দোলাচলে, মনোরম কবিতার ইতি টানলেন কবি।  
আর, সুন্দর কবিতাটি পাঠ করে পাঠক এক অনাবিল তৃপ্তির আস্বাদ নিয়ে ফিরল।


এতক্ষণ ইচ্ছে করেই বলিনি কবির নাম। প্রেম বিরহের চমতকার এই  মায়াময় উপস্থাপনায়, মনের এমন উথাল পাতালে সিক্ত করলেন, সম্ভাবনাময় আসর কবি মিনু  গরেট্টী কোড়াইয়া (বৃষ্টিরানী)।  
আর, বড়ো যত্নে বোনা তাঁর কবিতাটির নাম, "অবুঝ মনের এটাই ভালোবাসা।"


সত্যিই মুগ্ধ হতে হল কবিতার সুন্দর বুননে, বলার মাধুর্যে।  


ভালো থাকবেন প্রিয় কবি।
আন্তরিক অভিনন্দন।