তুমি বুঝলে না
প্রিয় কবি স্বপন বিশ্বাস


একতরফা। একা একা। অনেক সময় এটা হয়। প্রেমটা একপেশেই থেকে যায় সারাটা জীবন। অথচ, অন্য পক্ষ টেরও পায়না।  


ব্যস্ততার বর্তমান যুগে এমন আলস্যভরে দেখবার সময় কোথায়! নিজেকে নিয়েই, নিজেকে দেখিয়েই  নিরন্তর নিঃশেষ হয়ে চলেছে দুরন্ত অশ্বমেধের ঘোড়া...


কবিতার বিষয়টি চমতকার। এক আলস্য ভরা। কিন্তু, বড়ো আন্তরিক আকুতিতে অসামান্য প্রেমময়। অথচ বড়ো নিষ্ফলা। বড়ো একপেশে।  


অনেক প্রেম থাকে বায়বীয়। অনুচ্চারিত। আমার প্রেম তো, তা নয়! আমি বলেছিলাম...আমি চলেছিলাম পায়ে পায়ে... আমি গিয়েছিলাম তোমার নিদ্রিত শয়ানেও! তুমি চোখ মেলে দেখনি বলেই... তুমি পা মাড়িয়ে চলে গেলে বলেই... আমার সকল আন্তরিক আয়োজন ব্যর্থ...অসফল হয়ে গেল একে একে…  
  
কবি স্বপন বিশ্বাস এক উজ্জ্বল নাম।  
অনন্য সৃজন করেছেন কবি, আপন মনের মাধুরী মিশায়ে-  


কবিতাখানি তিনি একেবারে আটপৌরে ব্যতিক্রমী কথকতায় বলে চললেন। উদাসীন একাকিত্ব কেমন করে একা করে দেয় এক পরম নিবেদনকে। চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে গেলেন তিনি একে একে। আমরা  বুঝতেও পারিনা, আমার একান্ত কাছের, অন্তরের সেই নিবিড় চাওয়াটাকেও। শুধু একটু চোখ মেলে  দেখার অবকাশের অভাবে, কেমন করে এক অনন্য সুন্দর নষ্ট হতে পারে, তার বেদনা পরতে পরতে  সাজিয়ে দিলেন প্রিয় কবি অনন্য লিখনশৈলিতে-  


"তোমার মন খারাপের নিভৃত ঘরে
একলা কাতর শীতে
প্রদীপের শিখা হয়ে আমি জ্বলে রইলাম সারা রাত
আলোয় ভরে তোমার দুচোখ,
তোমার মুখদল ;
জ্বলে জ্বলে আমি নিঃশেষ হলাম
তুমি কিছুই বুঝলে না !"


  বেদনারও এক ভালোলাগা থাকে। বলার গুণে এক সাধারণ, অসাধারণ-অনন্য হতে পারে। প্রিয় কবির কবিতাটি তেমনই এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্বরূপ হয়ে রইল।


আন্তরিক অভিনন্দন জানাই প্রিয় কবিকে এমন এক মনোরম কবিতা আমাদের উপহার দেওয়ার জন্য।


ভালো থাকুন কবি।
আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভকামনা রইল।