উল্টো
খলিলুর রহমান


    একই বিষয় কিন্তু, আলাদা আলাদা প্রভাব ফেলে এক এক জনের মনে।  ব্যক্তিমানুষ প্রত্যেকে ভাবনায়    ভিন্ন ভিন্ন, আর তাই, একই ঘটনা ধরা দেয় এক একজনের কাছে, এক একরকম ভাবে।    


    তবে, একই ঘটনা একেবারে উল্টো হয়ে মনে হলে, বুঝতে হয় ভাবনাটিকে আর একবার পর্যালোচনার  প্রয়োজন। প্রয়োজন আর একবার আন্তরিক নিরীক্ষণের। বুঝতে হয়, আমি যে পাড় থেকে দেখছি, সে হয়তো একেবারে উল্টো পাড় থেকে দেখছে সেই একই বিষয়টিকে।


    আসলে  কোন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখছি, দেখছি কোন প্রেক্ষিতে, তার ওপরেই বিষয়টা প্রভাব ফেলে আমাদের মনে।  


                                       “তুমি যখন দেখো কাদার মাঝে
                                            রহস্যময় ফুটন্ত বুদবুদ
                                         আমি তখন বন্ধ চোখে খুঁজি
                                        ভাতের গন্ধে ফেনের মাঝে খুদ।"


    কাদার মাঝে একজন যখন ফুটন্ত বুদবুদের রহস্য সমাধানে ব্যস্ত। আর একজন তখন মনেপ্রাণে যেন তেন প্রকারেণ  খুঁজতে ব্যস্ত তার অভুক্তি নিরসনে। তাই, সে খুঁজে বেড়ায় সর্বত্র, তার চির আকাঙ্ক্ষিত একটু খাবার, ফেনের মাঝে খুদকে।    


   ক্ষুধাপীড়িত, কবিতার বিলাসিতায় দেখতে চায় না মনোরম “চাঁদকে”। বরং তার মধ্যেই সে খুঁজে  বেড়ায় ক্ষুধা নিবৃত্তির একমাত্র “ঝলসানো রুটিকেই।”  


  প্রিয় কবি খলিলুর রহমান ঠিক তেমন করেই তার “উল্টো” কবিতায় সঠিক উপমায়  একে একে  দেখাতে চেয়েছেন, সাধারণের চোখে সোজা জিনিষের উল্টো প্রতিলিপি।


  আর বলতে বাধা নেই, তৃপ্ত পাঠক এমন উল্টো ব্যাখ্যায় খুঁজে পেল তাদের মনের ক্ষুধার সঠিক গন্তব্যস্থলটি।  


   দেহ মন ভরে গেলো এমন মনোরম ছন্দময় কাব্য কথায়।  


   ভালো থাকবেন প্রিয় কবি।
   আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই এমন সহজ সরল সুরেলা কবিতাটি আমাদের উপহার দেওয়ার জন্য।