একটা আলোচনার উত্তরের খোঁজে অনেক প্রশ্ন এল আলোচক মহাশয়ের কাছ থেকে। প্রথমেই, যে  কবিতাটি নিয়ে আলোচকের এত অভিযোগ, সেটার অর্থ খোঁজার চেষ্টা করলামঃ-  


কবিতাটির অর্থ লাইন বাই লাইনঃ-
    তোমার চাবুকের আঘাতের উত্তরে- আমার, বোবা কান্না ছাড়া আর কিছু ছিল না। সহ্য করতে  না পেরে উদার-উচ্ছল তিস্তার কাছে চলে যেতাম মাঝে মধ্যে। আর, তার বানের জলে, আমার শরীরের  যন্ত্রণা  জুড়োল। খোলা আকাশের নিচে বেশ আরামে কটা দিন কেটে গেলো আমার।
    কিন্তু, ঘরের বাইরে মন বসাতে পারলাম না। আর, তাই তো আবার, ঘরেই ফিরে এলাম। এটা ঠিক, যে আজ আর তুমি আমায় চাবুক দিয়ে আঘাত করো না। তবে কি তোমার হিংস্র রূপটা বদলে  গেল? না কি, একেবারে বিসর্জন দেবে বলেই দেবীমূর্তি গড়লে-নিমেষেই?    
    এখন আমার অনুভবে আর কোন আঘাতের যন্ত্রণা নেই। আমি ফিরে এলাম বলেই কি দেবী হয়ে গেলাম? তোমার চোখের ভাষা কিন্তু, বারবার বুঝিয়ে দেয়- “আমি সেই চাঁপা-ই।” দোহাই তোমায়,  দেবী বলে তোমার কাছ থেকে আর, আমায় দূরে ঠেলে দিও না।
    আমি একজন রক্তমাংসের মানুষ।আমি কোন পাথর নির্মিত প্রতিমা নই। শরীরের জ্বালা জুড়নোর জন্যে আমার কাছে আছে একমাত্র কুয়োর ঠাণ্ডা জল। আর, আমি সেই জলে স্নান করে শরীরের জ্বালা  জুড়োই।   তুমি আমার এত কাছে থেকেও আমি একেবারে একা। তবুও, প্রতীক্ষায় রয়েছি আশার আলো জ্বলে উঠবার!


এর পরে মনে হয় না, মনোরম এই কবিতাটা নিয়ে আর, কোন দুর্বোধ্যতা থাকলো!


এবারে প্রশ্নঃ-


   আমরা এখানে কেন কবিতা লিখি? কেন মন্তব্য দিই ? আর কেন আলোচনা করি সেই কবিতার?


একে একে উত্তর খোঁজার চেষ্টা করছি-
    মনের আনন্দে কিছু লিখতে বা নির্মাণ করার মানসে একটা সৎ প্রচেষ্টার নামই কবিতা। হয়তো, আশানুরূপ হয় না সবসময়। হয়তো কবি যা বলতে চাইলেন, পাঠ করে তার অর্থ ধরতে পারা গেল না। বা, হয়তো, ঠিকঠাক প্রকাশ করতে পারলেন না কবি, তাঁর মনের কথাটি। তাতে কিই বা এসে গেলো। কি এমন মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে গেলো! এটা ঠিক বুঝতে পারলাম না!
   দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তরে বলি, মন্তব্য দিই ভালো লাগে বলে। হয়তো অনেক সময় মন্তব্যে  পুরোপুরি সঠিক কথা  বলা হয় না। তবু, অনুপ্রেরণাটা তো মিথ্যে হয়ে যায় না।


আর, আলোচকের কাজ তো সবচেয়ে বড়। তিনি আলো নিয়ে অনুসন্ধান করবেন- এটাই তো কাম্য হওয়া উচিত। তিনি, কবিতার উৎকর্ষ সাধনে আলো দেখাবেন- প্রেরণা দেবেন এটাই  তো আশা করে বসে আছি আমরা।  তা না করে, অন্ধকারের  কালো দিয়ে কালি ছুড়বেন তিনি! এটা কি কাম্য হওয়া উচিত?


  পরিশেষে বলি কবি নিখিল রঞ্জন বিশ্বাস, যে ভাষায় কবি সুমিত্র দত্ত রায়ের “তবু, দীপ জ্বলে না”   কবিতাটির সমালোচনা করেছেন তা,  এককথায় আক্রমণ ছাড়া আর, কিছু নয়।
   কবি নিখিল রঞ্জন বিশ্বাস, শুধু, কবি সুমিত্র দত্ত রায়কে হেয় করে থেমে থাকেন নি।  তাঁর ওই কবিতায় আমরা যে ছত্রিশজন কবি মন্তব্য করেছি তাঁদেরও-  কবি নিখিল রঞ্জন বিশ্বাস, সমানভাবে হেয় প্রতিপন্ন করেছেন।
   এই বিষয়টির তীব্র নিন্দা করছি।  
  আমাদের এই আসরে পারস্পরিক সখ্যতায় বেশ সুন্দরভাবে মিলেমিশে রয়েছি। কবি, নিখিল রঞ্জন বিশ্বাসের কাছে অনুরোধ এইভাবে আপনি আসরের সুন্দর পরিবেশ কলুষিত করা থেকে বিরত হন।
শ্রদ্ধেয় কবি সুমিত্র দত্ত রায়, আপনার কাছে অনুরোধ, আপনি লিখে যান যেমন করে লিখছিলেন। আমরা সবাই রয়েছি আপনার মনোরম কবিতায় স্নিগ্ধ হবো বলে। ভালো থাকবেন। আন্তরিক শুভকামনা জানাই প্রিয় কবিকে।