“আম পাতা ঝর ঝর / যায় পড়ে পর পর / আসে শীত কন কন / ছোটে মন হন হন /…… প্রকৃতির কোলেতে / পাখি ছেলেপুলেতে / জমে ওঠে সংসার / অবসান হিংসার”।  


“ সবুজ পাতার ফাঁকে / রৌদ্র ছবি আঁকে / ঝিলিক তুলির টানে / মন নেচে যায় গানে /.... শিল্পী রচেন গান / জগতের ঐকতান”।


    ন্যাড়া, রুক্ষ পৃথিবীটার বুকে একটা একটা করে গাছ-পালা, পাহাড়-নদী, পাখপাখালি  দিয়ে আপন মনে সেজে ওঠে প্রকৃতি। সেজে গুজে সুন্দর হয়ে ধরা দেয় আমার পৃথিবী। কবি গেয়ে ওঠে বন্দনা গানে তাঁর।পাঠক, প্রকৃতির অনুপম সৌন্দর্যের আস্বাদ পায় কবি কলমে।  ওপরের কবিতার অংশ দুটিতে সহজ সরল ছন্দে ধরা দেয় সুন্দরী প্রকৃতি।
  
   “এক একটা শীত এমন আসে / যাকে বসন্ত বলে ভুল হয়। দারুণ দুঃখের দিনেও / ভুল করে কিছু পাবার আশা। দুঃসহ সময়ের বেড়া বেয়ে / অন্যের ঘরে বাসা বাঁধা। নদীর স্রোতের মতো স্মৃতি / চারপাশে দীর্ঘ প্রাচীর। নিজেকে বাঁচানোর জন্য / শীতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই। তখন শীত যেন শীত নয়। আরূঢ় বসন্ত এক”।


    এক একটা ঋতুতে এক একটা বিশেষ সময়ের আবেশে মজে মন। চেনা প্রকৃতি নিজেকে পালটে ফেলে ঋতু অনুযায়ী। আমাদের চেনা মনটাও নিজেদের অজান্তে পালটে যায় সময়ের কালানুযায়ী।নির্মম শীত থাবা দেয় মনে - জড়ত্ব গ্রাস করে সারা শরীর জুড়ে। ভুল করে হলেও কবি কল্পনায়- তখন বসন্ত। সময় যতই প্রতিকূল হোক- সময়কে ডিঙিয়ে- সব বাধা অতিক্রম করে- মন যেতে চায় তার ঘরে- বাসা বাঁধতে চায়- থাকতে চায় প্রেমময় বসন্তে। কবির চির যুবা মন বাঁধা থাকে না-ছুটে চলে নদীর স্রোতের মত তরতরিয়ে- প্রাচীরের বাধাকে পাশ কাটিয়ে। বসন্তের সওয়ারে মন ছুটে চলে শীতকে বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ দেখিয়ে।


  উপরে ক্রমানুযায়ী কবিতার অংশগুলি হল – আমতলা আর  ঐকতান।  ঋতুবদল কবিতাটি  অবশ্য সম্পূর্ণ।


প্রতিবেদক এখনো কবির নাম বলেনি। বোধহয় প্রয়োজন নেই কবিতার কবি- পাঠকদের। অত্যন্ত পরিচিত মুখ। সবার প্রতি আন্তরিক ব্যবহারে- আলোচনার পাতাটি আলো করে আছেন তিনি।  কবিতা সম্পর্কিত এমন কোন দিক নেই যা তাঁর লেখনীর অমৃতস্বাদ পায় নি।  
  প্রতিবেদন তৈরি হওয়া পর্যন্ত, বিভিন্ন স্বাদের একশত তিরিশটি কবিতার স্পর্শ পেয়েছে আমাদের কবিতার পাতা। প্রতিবেদক, সিন্ধু থেকে বিন্দুর মতো সামান্য একটুর স্বাদ দেওয়ার চেষ্টা করেছে।


     কবির নামটি হল- শ্রদ্ধেয় কবি শ্রী যাদব চৌধুরী।  
     নমস্কার।