শুনেছি রোম নগরী নাকি একদিনে তৈরি হয়নি!  মাথার ওপরে সূর্যকে উঠতেও সময় লেগে যায়, সেই ভোর থেকে এতখানি বেলা পর্যন্ত! বাংলা কবিতার আসরের দুলক্ষতম কবিতার অনন্য নজির তৈরিতেও অনেক চড়াই উতরাইয়ের পথ...


  হাজারো আলোর রোশনাই! উদযাপনের, আনন্দের, সাফল্যের। তার মাঝেই এক লহমায় ছিন্নভিন্ন হয়ে  যায় সুর। নিভে যায় আলো। মনের কোণে, কপালের ভাঁজে, দুর্ভাবনারা ভিড় করে আসে।  


   হাজারো প্রশ্ন ভবিষ্যতকে ঘিরে। হাজারো শঙ্কায় বর্তমান কেঁপে ওঠে। কালো অন্ধকার ভিড় করে আসে অতীতের সোনালী স্বপ্নের ভবিষ্যৎকে নিয়ে! তবে কি সব হারিয়ে গেলো কৃষ্ণগহ্বরের ঘন কালোয়! ঘুচে গেলো সব সীমারেখা অতীত-বর্তমান-আগামীর?


    উত্তর, নিরুত্তর! ভাষা হারিয়ে...    


  শুধু, প্রত্যয় ছিল প্রত্যয়ীর। ভরসায় ছিল বড়ো আশায়। তবু, বুকের ভেতরের দুরুদুরুটা হয়েই  চলছিল একনাগাড়ে...  


   অবশেষে, রাহুমুক্তি ঘটলো মধ্যাহ্নের তেজোময় সূর্যের।


  তবু, জীবনে বিপর্যয়েরও প্রয়োজন আছে, হয়তো। মূল্যবান জীবনের মূল্য চিনতে পারি ওই কঠিন সময়েই। নয়তো জানা হতোনা, কেমন করে সবকিছু ঘটে চলেছে!  অন্তরালে কিভাবে, কতটা পরিশ্রম  ঘটে চলেছে! বোঝা যেত না!


  আজ এ ক্ষণ বড়ো আনন্দের ক্ষণ। দ্বিগুণ আনন্দ উদযাপনের সময়- এ ক্ষণ। দুলক্ষ কবিতা, মূল্যবান  অসংখ্য আলোচনা, তারুণ্যের সমস্ত রচনা সম্ভার, সব সবকিছু ফিরে পেয়ে, হৃত সম্পদকে বুকে ফিরে পেয়ে, মিলিত হতে পারলাম আবার! এ বড় কম কথা!


সাড়ে পাঁচ হাজারের ওপরে কবি, অগণিত পাঠক পাঠিকা, সবার উৎকণ্ঠার প্রহরের অবসানে ঘটলো! আর, এই অন্ধকার থেকে নিষ্কৃতি দিলেন যে, তিনি আর কেউ নন আমাদের বিপদের কাণ্ডারি, সময়ের অসময়ের অভিভাবক সম্মানীয় এডমিন মহোদয়।


শত নমস্কার, হাজারো অভিনন্দনে এ ঋণ মেটানো যাবেনা! আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই তাঁকে।


প্রার্থনা করি সর্বশক্তিমানের কাছে, তাঁকে যেন এমন করে শক্তি, উদ্যম দিয়ে নিরন্তর সবল করে রাখেন।


ভালো থাকবেন সমস্ত সহ কবিবৃন্দ।
আন্তরিক শুভকামনা সকল সময়।