সময়টা নড়েও না, চড়েও না-  
মৃতচক্ষুর শীতল চাহনি নিয়ে
ঠায় সে, আমার দিকে চেয়ে-    
একইজায়গায়, একইরকম
নিস্পলক-নিশ্চল-বিস্ফারিত হয়ে,    
কনকনে হিমস্রোত বইয়ে দিচ্ছে, শিরদাঁড়া বরাবর-      


দুঃস্বপ্নে সওয়ারি হয়ে
দুঃসময়ের উথালপাতালে ডুবে যাচ্ছি যেন শুধু,  
প্রতিপালক পৃথিবীকে এমন সংহারক হতে দেখিনি, কোনদিন    
আজকাল বড্ড ভয় করে,
ভেতর থেকে একরকম কাঁপুনির হৃৎস্পন্দন টের পাই, থেকে থেকে-
যতদূর তাকাই না কেন,  
কোত্থাও, কোনখানে একটুও ভরসার আশ্রয়কথা শুনতে পাই না, আজকাল    


আমার মায়ের আঁচল,  
আমার বড়ো ভরসার জায়গা; পরম আশ্রয়স্থল-  
আজ যখন গোটা পৃথিবীটাই মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে
নিঃস্পৃহ উদাসীনতায়,  
মৃত্যুপদযাত্রায়, নিজেরই জীবনটুকু যখন মৃত্যুসীমান্তবর্তী-    
তখন আমার, মা’কে মনে পড়ে,          
মা’কে আজ আমার; বড্ড মনে পড়ে-