একসঙ্গে থাকতে থাকতে ভাব জন্মায়; বিতৃষ্ণা ওই একই কারণে! তবে, গৃহী তো! তাই একেবারে ছেড়ে চলে যাওয়ার আগে উঁকি দিতে ইচ্ছে করে, পিছুটানের এক অদ্ভুত মায়ায়!। না, ঠিক দোটানা নয়।  শেষবারের মতো, বিগতকালের দিকে ঘাড় ঘুরিয়ে দেখার স্বাভাবিক নিয়মের বশে
কিছু কিছু ভাবনা আসছিল বোধ হয় সেই পথ বেয়েই। অবশিষ্ট কিছুটা আলো যেমন দপদপ করে মৃতপ্রায় নিভু নিভু তারার বুকে, প্রাণশক্তি যেমন কিছুটা বেঁচে থাকে তখনও, মৃত্যু ভয়ে ভীত প্রাণীটার  হৃদস্পন্দনে  
ভাবনাগুলো জমা হচ্ছিল টুকরো টাকরা এলোমেলো। লিপিবদ্ধ করি নি তাও। হাত যতই নিশপিশ করুক না কেন। চেতনা যতই ঘা দিতে থাকুক না কেন, তবুও!
ব্যবধান অনাসক্তি আনে। দূরত্ব টান কমিয়ে ফেলে ক্রমশ। স্রোত বন্ধ হয়ে স্থিত হয় যেমন জলধারা,  গতি থামিয়ে গুমোট যেমন বায়ুপ্রবাহ
ভেবেছিলাম, চলে যাবো! ছেড়ে ছুড়ে সব কিছু। অনাসক্ত সন্ন্যাসীজীবন যেমন যায়, গৃহচৌহদ্দির আসক্তি  ছেড়ে, পথে পথে
পথে নেমে দেখলাম, পথও একপ্রকার গৃহই। পরিসর শুধু বৃহত্তর, এটুকুই যা তফাৎ
প্রাণের পৃথিবী থেকে বহু ব্যবধানে তারাজীবন। তবু তারাই কেমন এক অচ্ছেদ্য বন্ধনে আবদ্ধ। প্রাণহীন তারাই যে প্রথম পাঠক, প্রাণের পৃথিবীর


পাঠকের আলোয় আলোকিত, প্রাণ স্পর্শে প্রাণবন্ত; পৃথিবীর মাঠ-ঘাট-পথ-প্রান্তর...