চাকা তুমি খালি গতি পেলে-
দ্রুত আরও দ্রুত- দুর্দমনীয় গতি নিয়ে
কংক্রিটের ওপর দিয়ে হাওয়ার বেগে
ছুটে চললে সারাজীবন।
তোমায় কতো বোঝালাম-
একটু বিরাম নাও।
শান্ত হয়ে, একটু ক্লান্তি দূর করো।
পথের ধারে- শ্রমিকের গান শোনো-
ঝুমুরের ছন্দে- মনটা চাঙ্গা করো-
সেই ফুরসতটাই তোমার নেই।
তোমার খালি- চলাতেই পেয়েছে-
সবসময় দৌড়লে হোঁচট তো খাবেই।
তোমার দ্বায়িত্বজ্ঞানহীনতায়- অসতর্কতায়-
মুহূর্তের ভুলে, তুমি আমার কি যে ক্ষতি করলে-
তা তুমি নিজেও জানোনা নির্বোধ।
তোমার অবহেলায়- আমার ঈশ্বরের প্রসাদ
কাদায় পড়ে নষ্ট হয়ে গেল নয়ানজুলিতে।
তবে, আমার প্রসাদ নষ্ট হবার নয়-
তাকে পরমযত্নভরে নিয়ে গেছে-
আমার ভুবন মাঝি, তার পালতোলা নৌকোয়।
সে এখন ভাটিয়ালি গাইছে কালনির জলে-
আর বলছে- গাড়ী চলে না – চলে না-