কাজের ভীড়ে কবিতারা হারিয়ে যায়-
অভিমানী কবিতা কিছুতেই আর আসে না।
আবার কবিতার কাছে – হাঁটু গেড়ে বসে কাজেরা।
হেরে আনন্দ পায় মনে-বসে থাকে চুপটি করে।
কখনো বা খুব ভোরে- যখন পাখীর কলতানে
ঘুমটা ভাঙতে চায় না।
কখনো বা পথ চলতি রাস্তায়- বাসের ভীড়ে-
কর্মব্যস্ত দুপুরে বা ঘরে ফেরার তাড়ায়-
কবিতারা আসে- তোমার সঙ্গে কথা বলতে।
একটু সময় করে- মাত্র দু দন্ডের তরে।
তখনই তার সঙ্গে কথা বলাটা যে চাই।
একটু যদি ভালোবেসে বলো-‘তুমি এসো’
তবে সে আসবেই।
চাঁদনী রাতে-যখন তুমি নিঃসঙ্গ-একা
বসে আছো নদীর ধারে-জলে পা ডুবিয়ে-  
যেখানে পূর্ণিমার চাঁদ আকাশ থেকে নেমে
চুমো খায় নদীর শেষসীমায়।
চরাচর ভেসে যায় রূপোলী স্বপ্নে-  
তুমি তখনই তাদের সঙ্গী হতে পারো।
পারো-অনাবিল আনন্দের অংশীদার হতে।
তারপর না হয় ফিরে এসো আবার-
আবার তোমার কাজের ভীড়ে।
কবিতা তোমায় বারণ করবে না।