দিনের আলোয় যে শুভেচ্ছা , পুষ্পস্তবক
হে রমণী ,হে জননী, হে ভাই, হে ভগিনী
রাত হলে জেগে ওঠে কোন তাড়নাতে
নখ, দাঁত , জননেন্দ্রিয় বের করা এক পশু
ধিক তোমাকে ধিক্কার অবক্ষয়ী পুরুষ
আমি ও নতমস্তকে মুখ লুকাই, নিষ্প্রাণ পাথরে
আজ ভাবি যদি অহল্যা হতেম বেশ ভালো হত।


অহল্যা এখন আর কোনোদিন
নিজের সতীত্ব নিয়ে লজ্জা করে না
কারণ সে জেনে গেছে এইযুগে
তাদের স্বামী সন্তান রা বড় বীর পুংগব
সব ধর্ষক রাজ কুল বংশীর
এরা নিজের রক্ত বিচার করে না
ভাই , বোন, মা , বাবা সব ছার


হে অবক্ষয়ী পুরুষ দেখতে ভুলে যাস
চেয়ে দেখ ওই সেই রক্তিম জরায়ু
যেখানে তুই রক্ত মেখে দেখেছিস এ পৃথিবীর  আলো
যে নাড়ীতে ছিলিস বাঁধা দীর্ঘ মাস দীর্ঘ দিন
সে নাড়ী কাটতেই মোহমায়া যাস ভুলে
জন্মবেদী কে পূজার অর্ঘ্য না দিয়ে
রক্তাত্ব , রণভূমি করিস নিজ জন্মদন্ড দিয়ে
ধিক তোমাকে ধিক অবক্ষয়ী পুরুষ।


চেয়ে দেখ এই সেই রমণীর ওম
যেখানে মুখ দিয়ে ভরিয়েছিলি পেট
ঘ্রাণ নিয়ে মনে হয় আজ কি সেখানে বিষ ছিল
সেদিনের সেই শিশু হাত তবে কেন আজ নখ দাঁতে ছেঁড়ে
বিষ ছিলনা সেদিন শুধু বিষ বৃক্ষ ছিল
আজ তোকে দেখে বুঝি আর লজ্জায় মরি


হে বীর নারী তো দূর্বল , ভাই, সন্তান , ওরা স্নেহজীবী
আর বাবা - মায়ের তো বয়স হয়েছে
রহেম রহেম কর হে পূর্ণাঙ্গ !
অবলা , অচলায়তনে চালাসনে বানরের খড়্গ
যারা বিপথে সুপথেই আন শিক্ষার বেদমন্ত্রে
যারা বিপদে আলো দেখা ভরসার বীজমন্ত্রে
নারী নয় , সুরা নয় , রক্ত নয়, শুধু মন
আকাশচুম্বী করে অবক্ষয় হতে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখ।


              -------****-------