পঞ্চমীর চাঁদ ডুবে যায়
ক্ষয়ে যায় মেয়েটির অশান্ত শরীর
দেহ পুড়ে যায় ধুম জ্বরে
কপাল পট্টি তে কিছুতেই
সে জ্বর থামার নয়
জ্বর কমলো তো মন পুড়ছে ভীষণ
কেরোসিনের টিমটিমে আলোয়
নিভে আসে জীবনের বাতি
স্বরূপের ছায়া শরীরের কামনায়
একবার কেঁপে উঠলো দেহ তারপর
একটু জল চেয়েই আবার শুয়ে পড়ে
বৃদ্ধা মা জলের গ্লাস ধরে বসে
সারা জীবন চোখের জল ধরে
কোথাও ভরে না সে জল .
না ভরে কোনো পাত্র ,
শুধু বুক ছাপায় অনর্গল প্লাবনে
একদিন এই মেয়ে সবাইকে কাঁদিয়ে
স্বরূপের হাত ধরে গিয়েছিল বহু দূর
লোকের কথা হজম করে ,অকালে ক্ষয়ে ,
বাপটা গেল মরে , অভাগিনী করে
ফিরল মেয়ে অবশেষে ,অনেক দিন পর
সব যখন শেষ ,নিজেকে শেষ করে
স্বরূপ কেড়েছে রূপ , কেড়েছে যৌবন
চালচুলোহীন শ্বশুর বাড়ির বঞ্চিত সম্পদে ,
গচ্ছিত ভালবাসায় একদিন ধরেছে টান
আবার নতুন গড়া সম্পর্কে পুরানোটা খান খান
যেমন খালি হাতে গমন তেমন আগমন
তারপর ক্রমশঃ ক্রমশঃ মৃত্যুমুখে টান
জন্মদাত্রী শুধু বসে রায় ঠায় প্রতীক্ষায়
অল্প বয়সে বিয়ে হয়ে যাওয়া কনে
পুতুলের ঘর গড়ার আগেই নিজের ঘর সাজাতে হয়েছিল
একদিন স্বামীর অপেক্ষায় হয়েছিল অধীর
ধীরে ধীরে সন্তান সন্ততি
মেয়ের প্রতীক্ষা থেকে স্বামীর মৃত্যুশয্যা পর্যন্ত
আর আজ মেয়ের মঙ্গল কামনায় আরো একবার
নিজের জন্যে চাইবার কিছু চিরকাল রইল অপ্রকাশিত