এই অশুভ দূর্দিনে ---  
প্রভাত যদি সন্ধ্যাকে ভালবাসে
উদয় তোমার কি হবে  ?
উদয় উদাসী হয়ে কয়
ভালবাসা তো দূর অন্ত ভবিষ্যতের কথা ভেবে শিহরিত হই
আমার উদয় এখনো মানুষের চৈত্যন্যে আটকে আছে
বিবেকের কাছে এখন বন্ধকী সুদ গুনছে


আমার বুকে ভীষণ কঠিন ব্যাথা বাজে যখন দেখি  
নিরাশ্রয় মানুষ তপ্ত রাস্তায় পায়ে দগদগে ফোস্কা নিয়ে হেঁটে যাচ্ছে
নিশ্চিন্ত বিশ্রামে ও যখন ছিন্নবিচ্ছিন্ন করে দিয়ে যাচ্ছে রেলের চাকা
ক্ষুধার জ্বালায় ধুঁকতে ধুঁকতে সন্তানের জন্যে  মায়ের চোখে ভাসছে জল
আশু কর্মহীনতায় মানুষ শঙ্কিত হচ্ছে অহরহ
নিদারুন আতঙ্কে সবাই কেমন ক্রমে ক্রমে যাচ্ছে দূরে
বুঝি এখনো একশ্রেণীর জীবন অনুদ্যয়
উদয়হীন স্বাধীনতা, উদয়হীন জীবন,জীবিকা, বাসস্থান


ঠিক এই সময় , এই তমসা ঘন মুহুর্ত্বে
মৃত্যু যখন দুহাত ছানি দিয়ে অহর্নিশি ডাকছে
আর সেই সন্ধিক্ষণে চির অমর হওয়ার কামনায়
কেউ নিত্য চব্য - চোষ্য গিলছে,
কেউ নেতা হওয়ার বাসনায় দরদী সাজছে
আখেরে লুঠছে , জমাচ্ছে ,আর খুব কামাচ্ছে  
তখন ও বুঝি এদের ও অনুদ্যয়
উদয়হীন চেতনা, উদয়হীন জ্ঞান, উদয়হীন বিবেক মানসিকতায়    
দৈন্য, নিপীড়িত, অসহায় মানুষকে এরা  অমানবিক হতে শেখাচ্ছে


তবু ও স্বপন দেখি বিনিদ্র আঁখি ঘোরে আবার কোনো ভোরে
হতাশার মেঘে যদি হয় আশার সূর্যোদয়  
মনুষ্যত্বে যদি হয় চৈত্যনের উদয়  
সেই নতুন দিনে বিষন্ন সন্ধ্যা কেন
আমি কালো তমসাকে নিয়ে ঘর বাঁধতে রাজি ।