চাঁদের দেশের চড়কা বুড়ি আর আসেনা কাছে ,
ঠাকুমার সেই ঝুলিখানা হারিয়ে কোথায় গেছে ।
চোখ সরেনা পর্দা থেকে, মাউসে হাত খানা ,
উপর থেকে বিকেলবেলা নামতে এখন মানা ।
ছুটছে সবাই নেশার ঘোরে, মারতে হবে বাজি ,
না হলে যে চারি আনাই মাটি হবে আজি !


হাঁফিয়ে গেলে চলবেনা ভাই, এইতো সবে শুরু ,
শিখতে হবে বিদ্যেখানা, মারতে হবে গুরু ।
শেখার ভালো সুযোগ পেতে লাগবে দেদার টাকা ,
তা না হলে, ধরতে হবে পথটা, যেটা বাঁকা ।
গুরুমারা বিদ্যেখানা রইলে শেখা বাকি ,
জীবন হবে নেহাত খেলো, অষ্ট আনাই ফাঁকি !!


এত কিছুর পরে যদি চাকরীখানা জোটে ,
তবেই ভালো, তা না হলে মরবে কেঁদে-কেটে ।
এইখানেতেও টাকার খেলা, ধরতে হবে লবি ,
পূরণ করে চলতে হবে ওপরওলার হবি ।
চোখ দুটোকে নামিয়ে রেখে শুনতে হবে যা-তা ,
তা না হলে, জীবনখানা বারো আনাই বৃথা !!!


সবকিছুকে মানিয়ে নিয়ে, এত কিছুর পরে ,
বুক ফুলিয়ে! হাসি মুখে!! ফিরবে যখন ঘরে ;
বউ-এর সাথে বাবা, মায়ের চলছে মারামারি ।
ব্যাগ গুছিয়ে বউটা তোমার চললো বাপের বাড়ী ।
এমনি করে বেশ কিছুদিন চলার পরে শেষে ,
বাবা, মা-ই বললো তোমায় মলিন মুখে হেসে –
থাক্ না তোরা নিজের মতো তাকাস কেনো পিছে ?!
ভাববে তখন, জীবন তোমার ষোলো আনাই মিছে !!!!