ভাসমান মেঘ হয়ে আমি খুঁজে ফিরি তোমার ঠিকানা
উন্মুক্ত হাওয়ার অহংকারে, ভাসিয়ে নিয়ে যাও নিজেকে অন্ধকারের অন্তরালে।
বিরাশিতে পড়া শেষ করে চুপিচুপি কার কাছে বন্ধক রেখেছিলে মন!
চাঁদের মত ক্ষীণ হয়ে যাওয়া স্মৃতিটুকু ছাড়া আর কিইবা আছে?
একদিন হেমন্তের সন্ধ্যাগুলো দুলিয়ে ছিল তোমার মন।
পাতা ঝরা পত্রের মর্মরে উঠেছিল গুনগুনিয়ে হৃদয়।
আমার বুকে আশ্রয় নিয়ে লতার মত জড়িয়ে নিজেকে করেছিলে বিকশিত।
জেগেছিল কুঁড়ির আবির্ভাব।বাতাসে ছড়িয়েছিলে ফুলের সৌরভ।
কানে কানে এ যেন অটবীর প্রেমালাপ।
আর ঈভের রাতে নিশ্চিত প্রণয়ের গভীর আলিঙ্গন।
তোমার ফর্সা তনুতে নিত্য প্রানের জোয়ার –  
এ ছিল আমার গৌরবের।
তবে কেন তর্জনী তুলেছিলে নিজের দিকে?
অন্তরালে যাওয়ার যে বীজ বপন করেছিলে
তারই ছায়ায় বসে থাকা, যাপন।
জীবন কখনও কখনও আঘাত করে
রক্তাক্ত হলেও বিশ্বাস হারিয়ো না,
কারন বিশ্বাসেই নিহিত থাকে ঈপ্সিত ভালোবাসার স্বপ্নপুরণ।