আমার জানাশোনা জগতের মধ্যে
আমি জানি সেই রমনীকে প্রতিদিন
লোকাল ট্রেনে চলে আসে শহরে।
আপন সংসারে ডুবে আছে সে নিত্যদিন ছুটে চলা
স্থাপত্যের দিকে বাড়িয়ে চলেছে ক্ষুধার তাড়না।
তার বিলাপধ্বনির দিকে ফিরেও তাকায় না কেউ।
পথ দেখায় নি কেউ জলকণা খুঁজে নিতে।
সংগ্রাম বেড়েছে দিনে দিনে, যেন শুয়ে থাকা নির্লিপ্ত নদী সর্বগ্রাসী।
তার শরীরে ছিল না চুম্বনের দাগ, না ছিল বসন্তের ঘ্রাণ।
অথচ ছিল সৈকতজুড়ে স্বাধীন আনন্দে বাঁচার
অলৌকিক খেলা, বিপুল বহতা, স্রোতোচ্ছাস।
জীবনকে কৃষ্ণচূড়ার রঙে রাঙাতে পারেনি।
পরিযায়ী ঢেউ পাখিরা উড়ে আসে ইচ্ছাগুলো নিয়ে
তার প্রেমে পাগল হয়ে।
মহাকালের কাছে ভোর প্রার্থনা করি।
দ্রবীভূত পাথরের বার্তা নিয়ে আকাশের ক্যানভাসে ছবি আঁকি।
পাথর শোনায় অন্ধকারে জ্যোৎস্নার ভাষা অনর্গল...