আজও বাজে কৃষ্ণের বাঁশি—
কদম গাছের নীচে দাঁড়িয়ে শুনি।
ত্রিকাল জানে সেই শব্দ নিঃশব্দ উচ্চারণ...
মাঝে মাঝে আমিও বাজাই
একটা শঙ্খধ্বনির ভেতর আমি শুনতে পাই সেই অনুরণন।
সন্ধ্যাপ্রদীপ জ্বালিয়ে তুমিও বাজাও—
অনায়াসে আমি মাথা নত করি
রাইকিশোরীর মত তোমার ভালোবাসা
আমার বুকে কার্তিকের হিম হয়ে বসে গেছে।
তবুও তুমি নির্বিকার, উপমিত কঠিন পাথর।
লিখে রাখি তার ভাঁজে ভাঁজে তোমার প্রণয়ের ইস্তেহার।
শুধু যাপনের আড়াল ভেঙে জেগে থাকো তুমি
বয়সের রঙ উঠে গেলে চোখের দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে আসে।
নৈঃসঙ্গ্য পীড়িত গোধূলিবেলায় পড়ে অপ্রাপ্তির দীর্ঘশ্বাস।
তুমি জেনে নাও অপর্ণা, আলোর মধ্যেই থাকে আলোময় দিন
একলা চলার পথে ফুরিয়ে যায় তোমার একলা পথের আলো...