চিহ্নগুলো রেখে যাবে তুমি, তারপর ফিরে যাবে উৎসমুখে
ভাসিয়ে দিয়ে যাবে ব্রাহ্মণীর জলে হৃদয়ের দুঃখগুলো।
চোখের পাতা থেকে একে একে সরে যাচ্ছে গাছ, সরে যাচ্ছে মাঠ।
অন্ধকারে বুকের ভেতর মুখ লুকিয়ে খুঁজতে থাকো পরিত্রাণের পথ।
আর ধীরে ধীরে কুঁকড়ে যাওয়া আশা, ক্রমাগত অপ্রশংসায় বুক ঠেলে
উথলে ওঠা অভিমানী চোখের জল।
জীবনের সময় ফুরিয়ে যায়, উপেক্ষার এই মেঘ নদী দিগন্তে হারায়।
তখন নীরব সব চেনা কোলাহল, স্তব্ধবাক তোমার সকল স্থাবরজঙ্গম।
ছায়ামাখা ভিজে হাওয়া ঢাল বেয়ে চুপিসারে নেমে আসে
যৌবন শেষ হয়ে যাওয়া বন্ধ্যা শরীরের ভাঁজে ভাঁজে।
আমি দেখি তোমার উঠোনে কুশায়ার জাল ছিঁড়ে খেলা করে
একফালি অবাক রোদ্দুর।
ঘরে ফিরেছো তুমি সারাদিনের ক্লান্তি উদাসীন অচঞ্চল।
কখনও কি দেখেছ চেয়ে তোমার শাড়ীর ভাঁজে ফাকা ময়দান পড়ে আছে।
জনপদ লোকালয় ছেড়ে দুরে ওই নিভু নিভু আলোর তলায় কি খুঁজছো।
আকাশ জুড়ে খণ্ড মেঘের সংসার?