যাওয়া আসা পথের ধারে দেখি মজে যাওয়া নদী।
নদীতে জল ছিল কিন্তু স্রোত ছিল না।
একদিন নদীর পাড় ধরে ছিল কোলাহল জনপদ।
হাজারও মানুষের সাথে দেখতাম তাকে অন্ধকার থেকে
জ্যোৎস্না প্লাবিত পথে, আরও দুরে ইশ্বর কণার দিকে হেঁটে যেতে —
কবে যে হঠাৎ তার মরা গাঙ শুকিয়ে গেল! জলের উপরে দেখি
বেদনায় নীল হয়ে যাওয়া তার মনের দুঃখগুলো ভাসে।
নিজস্ব লোকালয় ছেড়ে কে রয়েছে বসে ?
ঘাটে পায়ের কাছে পরিত্যক্ত পুজার ফুল।
ঘাটের সোপান দিয়ে নেমে যাওয়া আসা পদচিহ্নগুলি
আজও সে দেখে নির্নিমেষ। নগ্ন ঘাটে মৃতপ্রাণ কেঁদে ওঠে প্রলম্বিত আলো আঁধারে।
কোথায় চলেছে সে ভেসে? কতদুর?
জীবন কি জানে কতদুর একা একা এই ভেসে চলা?
তার মনের মধ্যে থেকে যাওয়া চুপচাপ অহংকার
নদীর মত একার কান্না হয়ে ঝরে পড়ে গোধূলির শেষে।