একদা প্রেমের সকাশে তোমার
সঙ্গে আমার পরিচয় হয়েছিল ।
আমার প্রেমের লক্ষ্য কি সেটাই ছিল
নাকি তাতেই আমার সব কামনার পরিসমাপ্তি ?
    ঠিক মনে নাই
    সেদিন আকাশে ছিল চৈতালি হাওয়া
    আন্থনি বাগানের পিছনে তোমাদের
    বাড়িটায়, আমি তাকালাম সেই দিকে।
    ---- ভরা দুপুরে নির্জন
    ঝুল বারান্দায় দাঁড়িয়ে চন্দ্রিমা
    বিপুল বিভায় আন্দোলিত হচ্ছে
    অবিশ্বাস্য বর্ণচ্ছটা ।
অন্য কোন পৃথিবীতে, বা নদী প্রান্তরে পাহাড়ে
নদীর প্রসারিত বিস্তারে –
অরন্যের পত্র মর্মরে।
আমি দেখিনি এমন আলোকচ্ছটা।
যেন স্বপ্নের বিস্তৃত প্রান্তর
ঘিরে রেখেছে আমাকে, আমার জীবনকে ।
যখন বৃষ্টি নামল –
     আমার আকাশ জুড়ে
     আমার বনে, আমার গানে
     চুলের ছড়ান উল্লাসে।
     আমি ভেসে গেলাম আকাশে
     বাতাসে পর্বত সানুতে
         ঝর্নার কল্লোলে।
দিগন্ত পাথারে ম্রিদুমন্দ
         ওঠে ঢেউ।
কুয়াশার কাফন সরায়ে
আমার মৃত কামনার প্রেতছায়া
         জেগে ওঠে ।
যে অনামা ছবি দূরে সরে যায় বারে বারে
আমার গোপন প্রেমের ছবি নিয়ে
বার বার জেগে ওঠে মন।
আমার এ যান্ত্রিক মনে
আজও এই অন্ধ আবর্তন।
    জ্যোতির ঊষা লগ্নে দিগন্ত দ্বারে
    অবারিত হয়—
ঘনিষ্ঠ এক চৈতালি দিনে
তোমার ঠোঁটে আমার ঠোঁট
আমার হাতের মুঠোয় তোমার বুক।
ভালবাসার জন্যে চুম্বনের মৃত্যু নেই জেনো।
সে দিন চৈত্র মাস
    বর্ণাঢ্য এক আলোকোজ্জ্বল দিনে
হাজার প্রজাপতির ডানা নিয়ে
তুমি উড়ে এলে।
তোমার নুপুরের ধ্বনি
যেন সুদূরের পার হতে আসা
অজানা বিহঙ্গ তার নিরালা
সুরের প্রতিভাসে
জুঞ্জরিত হয় তোমার
প্রেমের স্মরনিকা ।