তুমি আছো আমার অনুভবে
তুমি আছো আমার স্বভাবে—
যেন গর্ভ গৃহ থেকে নেমে এসে
তোলপাড় কর আমার হৃদয় জুড়ে।
সোনালী লাভার স্রোতে ভাসতে
থাকা তোমার মন ছুঁয়ে যায়
আমার মনকে ।
তাই তো তোমায় ভালোবাসি বলে
আমি উন্মাদের মত চেয়ে থাকি
তোমার পথ চাওয়ার দিকে।
তোমার অনুপস্থিতি আমাকে ভীষণ ভাবে
বিদগ্ধ করে । ক্রন্দনের মত্ত কলরোলে
আমি পাগল হয়ে যায়।
তোমার চোখের সলজ চাহনিতে
দেখেছি আমার মরণ
তাই তো আমি ভুলে যায়
তোমার সকল মান অভিমান।
তোমাকে সাজাব আমি আমার
মনের অনুভবে। ওই দূর নীলিমায়-
জীবনান্দের মত ছলাকলাহীন
ধানভাঙ্গা সাদাসিধে এক রূপসী –
দিনরাত প্রণিপাত পরিশ্রমে তোমাকে
যায় না পাওয়া
তোমার নির্মল চেহারার মুখশ্রী
দেখে আমার যত ক্লান্তি ঝরে যায়,
তোমার ভালোবাসার অবিশ্বাস্য উষ্ণতায়
আমার মনকে দোলা দিয়ে যায়।
তোমার নৈঃশব্দ মন্থিত
হাহাকারে আমি দিতে চেয়েছি
ভালোবাসার প্রলেপ।
ভেবেছিলাম এই গোধূলি বেলায় তোমার
রাঙা চরন চিহ্ন পড়বে আমার দুয়ারে—
আর আমার ভাবনালোকে তোমার দৈব
উপস্থিতি আমাকে দেয় এক
ক্ষণজীবিতের পূর্ণতা। এই পঞ্চান্ন বছরে
আমি জড়িয়ে আছি তোমার শরীরে।
আর তুমি আমাকে বয়ে বেড়াচ্ছ
জ্যোৎস্না রাত থেকে অমাবস্যায়
পাহাড় থকে অরন্যে, সাগর থকে মহাশুন্যে।
আমি বেঁচে আছি তোমাকে আঁকড়ে ধরে
যেমন করে অর্কিড বেঁচে থাকে
কাউ কে অবলম্বন করে।
আমি বদলে যেতে থাকি
বদলে যায় আমার স্বভাব
তবু আমি জড়িয়ে আছি তোমার
শরীরে । তোমার শিরা-উপশিরায়
তোমার প্রতিটি রক্ত বিন্দুতে
তোমার শানিত ঠোঁটে।