আমার চোখের সামনে তোমার
নিথর দেহখানি পড়ে আছে।
আজ তাকে সাজাব যতন করে-
ধুপ চন্দন, রজনীগন্ধা দিয়ে।
সাদা কাফনে ঢাকা দেহ
আমার প্রেয়সী।
যাকে আমি কোনদিন ছুঁতে পারি নি    
ছোঁয়া ছিল নিষেধ।
শুধু নিষ্পলক দেখে গেছি-
যত দিন প্রান ছিল দেহে।
তোমার মাথার সিঁথি ঠিক
আগের মতই আছে।
কপালের ভাঁজ আর টোল খাওয়া গাল
তির্যক নাক ঠিক জায়গাতে আছে।
শুধু তোমার ঠোঁট দুটো নড়ছে না
নিথর হয়ে তোমার চোখ দুটো
বুজে আছে।
তোমার এই দেহ পোড়াব না আমি-
প্রতিবেশী বলবে- দেহখানি আঁকড়ে
বসে আছে এক উন্মাদ প্রেমিক।
একটু অনুমতি দাও- তোমার
দেহখানি ছুঁতে । আমি সাজাব যতনে
আমার হৃদয়ের নরম মাটিতে
কবর দেব।
আমার আত্মার চারপাশে জীবিত
থাকবে চিরকাল।
তুমি ছিলে আমার বড় অভিমানের
বড় গর্বের।
তোমাকে ছুঁতে না দেওয়ার যে অভিমান
পুষেছিলে মনে। তা ছিল
বেদনার গন্ধে ভরা জলন্ত মিথ্যা।
মিথ্যার অন্ধকারে ডুবে তুমি
কেড়ে নিলে আমার হৃদয়ের জ্যোতি।
মৃত্যুর অন্ধকারে মুখ ডুবিয়ে
আমি তোমায় খুঁজি।
তোমার নিথর দেহখানি পড়ে আছে-
যেন আমায় বলছে – একবার তো ছুঁয়ে
দেখ। আমি উপেক্ষা করতে পারি না
আমি সাজাতে থাকি আমার প্রেয়সীকে
শেষ বারের মত
কালো অন্ধকার আমাকে গ্রাস করে।
আমি এগিয়ে চলি তোমার
আত্মার ছায়াসঙ্গী  হয়ে।