শেষবারের মত সমর্পণ করলাম আমি
নিজেকে আমার মৃত্যুর কাছে।
আর তৎক্ষণাৎ মনে পড়ে গেল—
বৈঠকখানার সেই ষোড়শীর কথা।
প্রতিদিন যাকে আমি দেখতাম  
স্কুলের পথে—
তখন আমি অনেকটা পথ পেরিয়ে এসেছি
ভালোবাসা তার ভৌগলিক সীমারেখা
ছাড়িয়ে সূর্যোদয়ের পথে—
আমাকে বাঁচতে হবে সেই ষোড়শীর জন্য।
বালজুরাইসি পাহাড়ের মাথায়
পরাক্রান্ত এক প্রবল শীতে
সে আমার কানে কানে বলেছিল
‘ভালোবাসে আছে আমি আছি-
আমার সমস্ত অস্তিত্ব নিয়ে তোমার প্রকাশ’
এখন রাত্রি আমি পান্থশালায়
খোলা জানালার বাইরে মেঘে ঢাকা পাহাড়।
যেন অনন্ত কাল ধরে তারা প্রেম করছে।
তোমার কি মনে পড়ে
সেই অতীত কাহিনী –
ভগ্নপ্রায় খাজুরাহ তার কামবিলাস
নগ্নতা ধরিয়েছিল আগুন।
আমার সমস্ত অস্তিত্ব নিয়ে।
ভাবনার পথ বেয়ে উঠে আসে
আমার অতীত।
যা আজও স্মৃতিভারে নত অনিবার্য
নেশাতুর মন। মনের গহনে আজ তার পীড়ন।
চৈতালি হাওয়ায় তার আভাস।
এরকম মন, একাকীত্ব
জন্ম দেয় নির্বাসন, বারংবার ঠেলে দেয়
নৈনিতালে কিম্বা খাজুরাহে
মাটি ও মৃত্তিকায়।
প্রেমের সকাশে জেগে আছে আজও
আমার অপরাজিতা।