স্বচ্ছ ছায়াচ্ছন্ন রাতের পর রাত
আমি হেঁটেছি তোমার সাথে
তুমি নত হয়েছো রাতের পর রাত
সেই মায়াময় দীর্ঘ যাত্রায় আমরা
ঘুরেছি একসাথে।
রাত যত এগিয়েছে পশ্চিমের দিকে
আমি জেনেছি তোমার বেদনাহত
মুখের অভিব্যক্তি...।
জলধির নীচে দাঁড়ায়ে আমি
গ্রহন করেছি তোমার ব্যথা যত
ভালোবেসে আমি মিশে গেছি তোমার
চোখের দীর্ঘ পল্লবে।
রাতের বৃষ্টিতে ভেজা এই শহরে
মাটির সোঁদা গন্ধে—
আমার যত কামনা বাসনা
আর মনের আকুতি।
সব মিশে একাকার তোমার ওই
নীল চোখের দিগন্তে।
আমি নিজেকে সাজায়ে বসে আছি  
তোমার পথ চেয়ে –

    হে কালের প্রেমিক প্রবর
তোমাকে ঘিরে আমার যত স্থাবর-জঙ্গম।
আর তুমি কিনা হলে সমকামী...পুরুষ।
নির্জন গভীর বনস্থলে তোমার যে ছায়ামূর্তি
আত্মগোপন করে ছিল
প্রকাশিত হল তোমার হিংস্র স্বভাবে
যাকে তুমি ঘরনী করেছো
আমৃত্যু যার সাথে তোমার বসবাস।


সমাজের সব চেতনাকে করে কলুষিত
মহানির্মাণের ধ্বজা উড়িয়ে যারা চায়
আইনি স্বীকৃতি। সেই সমাজের কাছে
আমার এ আকুল মিনতি—
নারী দেহের প্রতিভূ আমি এ পৃথিবীর পথে
বয়ে বেড়াবো আমি সান্ত্বনাহীন যত কামনা
বিনিদ্র আত্মার পরাভবে।
জীবনের বালুচরে খেলা করে দুরন্ত যৌবন
তৃপ্তিবিহীন বীভৎস ক্ষুধায়
কলুষিত হয় অপলার প্রেম।