সেই তো তুমি ভালোবাসলে  
জীবনের শুন্যতা কাটিয়ে
অনেকদিন পর তোমার ভালোবাসার
মেঘেরা খেলাকরে আমার চারণ ভুমিতে—
অতীতের ছায়া ভেসে যায় দূরে
লালমাটির’পরে ।
বিশ্বাসহীনতা বিদ্বেষে নিজেকে ভেঙ্গে
ভালোবাসাকে করেছো শুদ্ধ।
রুপকথার মত তুমি বিম্ববতী হয়েছো
সহৃদয়তা নিয়ে নিজেকে উজাড় করেছো ।
তোমার রৌদ্রমাখা হৃদয়ে শুনি
সেই শান্ত ধ্বনি ।
আজ তোমার পায়ের তলায় কান্না করে
মৃতশোক।
শ্রাবনের বারিধারায় স্নাত তুমি
রাতদিনের পরিশ্রমে ক্লান্ত নও তুমি।
নিরন্তর বেঁচে থাকার প্রয়াসে
আমাকে রোপণ কর তোমার বুকের মাটিতে।
আমার প্রেমের আকাশে তুমি রেখে যাও
জ্যোৎস্না। শত শত বছরের রহস্যময়তা নিয়ে
আজ তুমি নারী ।
তোমার প্রতি মুহূর্তের নিঃশ্বাসে
জ্বলছে ভালোবাসার আগুন।
মেঘের খোঁপায় ফুটেছে ফুল।
তোমার প্রেমের অমরত্বে তুমি আমাকে
সম্মহিত কর । পদ্মপাতার জলের মত
ঢলে পড়ি তোমার গর্ভে। ঋতুমতী নারী
তুমি । অন্তহীন আমি জেগে উঠি
তোমার ভালোবাসায়।
আমাকে কি অনন্য উপহার দেবে
তাই কি খুঁজছো অনুকুল হাওয়া।
বুকের গভীরে কি ছিল শঙ্কা।
জল ঝরে গেলে মেঘ বয়ে যায় সুদূরের ভেলা।
সমুৎসুক অধিরতা নিয়ে তুমি দাও প্রেমের
জোয়ারে অঞ্জলি।