তোকে শুধু তোকেই ভালোবাসি
তোর চোখের কাজল হয়ে আমি
তোর চোখেই বাস করি।
তোর ছায়ার সঙ্গে মিশে আছি আমি—
শৈশবের বনছায়ায় ছুটতে ছুটতে
ঝরাপাতার মত ঝরে যাস্‌ তুই।
তোর শব্দের শরীরে কান পেতে কখনও
কি শুনেছিস্‌ রক্তক্ষরন যন্ত্রণার
বলিরেখায় তীক্ষ্ণ কালশিটে নিঃশ্বাস।
সমুদ্রকে ছোঁয়ার স্বাধীনতা তোর নেই।
দরজা জানালা খুলতে বারন –
     দিগন্ত তুই দেখবি কোথায় !
স্বাধীনতা আমি তোকেই দেব
নীলকণ্ঠের ডানা নিয়ে আসতে পারিস
তো আয় বিষুররেখা টপকে।
এই মাঝবয়সে তুই কেন বিস্ময়াহত চুপচাপ।
বজ্রযোগিনী তুই, যেখানে যাওয়ার ইচ্ছা
তোকে আমি দেব।
ঘর বাঁধবি আমার সাথে—
তোর অজর ওষ্ঠের উষ্ণতায়
আমি জেনেছি এষা।
তোর নরম বুকে মুখ রেখে
আমি খুঁজেছি রাত্রির হাহাকার
আর নৈঃশব্দ্য।
চিরজীবনের মত মিশে থাকবি
আমার আত্মার সাথে।
শুকিয়ে যাওয়া সমুদ্রের বালুরাশির
অভিব্যক্তি তোর মুখে-
মৃত্যুর স্বপ্ন দেখিস্‌ দুবেলা
অবিনাশী আলোর ফোঁটায় জন্ম তোর
তুই যদি হস্‌ অন্ধকারের জননী
আমি পিতার পিতা মহর্ষি
আমি কান্নার মেঘবৃষ্টি হয়ে ঝরবো
তোর চোখে।