তোমার সোনালী দুচোখে আমি ভরেছি
আকাশের গাঢ় নীল
মেঘেরা খেলা করে তথা উড়ে যায় গাংচিল।
মধুময় এ পৃথিবীর ধুলার’পরে
দুয়ার জানালা দিও খুলে
এই মুহূর্তে তুমিই আমার বলব সময় এলে।
তোমার স্নেহমাখা মায়াবি মুখে ফুটে
উঠে জ্যোৎস্নার ফুল।
সন্ধার বাতাসে নেব তার ঘ্রাণ
মন তাই আকুল।
নতজানু আমি তোমার নাভিমুলে
যত ক্লেদ যত যাতনা, লাঞ্ছনা সব ভুলে।
তোমার ঘুমন্ত চোখের পাতা ছুঁয়ে আছে আমার হাত
রাত্রির বাকল খুলে পরিশ্রান্ত জরাদেহ ধুয়ে দিচ্ছে চাঁদ।
পুনর্ভূ তুমি। সদা চঞ্চল ব্যস্ত সকল কাজে
জীবন অগাধ ভালোবাসার ধ্বনি প্রানে তোমার বাজে।
পাহাড়ের গায়ে পড়ে থাকে নীরব গোধূলি
তুমি কেন একা পার হও এই মৌন বনস্থলী  
তোমার ভালোবাসায় আমার এ আহুতি মনের কথা বলে
তোমার তৃষ্ণার প্রত্যাশা নিরবধি শুনি ময়ূরাক্ষীর জলে।
আমার হৃদয়ে জাগাও ভালোবাসার পূর্বাশা
ঝরা পাতার মর্মরে পাই মহুয়ার নেশা।
তোমার অন্তবিহীন চরন চিহ্ন পড়ে আমার ঘরে পলে-অনুপলে
তোমার সীমান্তে তোমাকে ছোঁয়ার স্বাধীনতা আমায় দিলে।
সমুদ্রের ঢেউ তুলে আছড়ে পড়ো আমার বুকে তুমি
পুনর্ভূ হয়ে বিরাজ করে এই তৃণভূমি।