দূরভাষে তোমার স্বরধ্বনির বিকিরন
আমার মনে এক জোয়ার এনে দেয়।
হিংস্র বর্বরতায় যেন সবকিছু ভেঙ্গে
দিতে ইচ্ছে করে।
মহাকালের লগ্নভার আমাকে টেনে
নিয়ে যায় সামনের দিকে।
বাঁক ফিরলে ঝাপসা হয়ে আসে
তোমার স্বরধ্বনি।
কোথায় যেন হারিয়ে যায়
এক আবছায়া মৃত্যুর শুন্যতার ভিতর।
নিজস্ব পরাজয়ের খবর জানিয়ে
অতৃপ্ত আত্মার চঞ্চল উড়ান
এক সময় স্থির হয়।
‘আমি ভালো আছি বলে..’ তোমার
স্বরধ্বনি মিলিয়ে যায়।
প্রদীপের উদ্ভাসিত স্নিগ্ধতায়
নারী দেহের একমুঠো ছোঁয়া
বুকের ভিতর সুখ চিহ্ন রেখে যায়।
হৈমন্তিক বিকালে আমি দেখেছিলাম
বিপাশার জলে তোমার প্রথম স্নান।
আমি প্রথিত করেছিলাম রক্তবীজ
তীব্রতম উল্লাসে তুমি ধারন করেছিলে গর্ভে
আমার দুহাতে তুলে দাও তোমার অংকুর।