হিমের রোদ গায়ে মেখে ন্যুজ্ব
হয়েছে তোমার জীবন।
জীবনকে আবার জীবনের মত
দেখবে বলে তীব্র হয় বাসনা।
‘কুঁড়ি মেলে ধরো বহুকাল পর’
গেয়ে ওঠো অলৌকিক সুরে সাম্রাঞ্জীর গান।
কৃষ্ণচুড়ার বনে রং ছড়িয়ে
পাহাড়ের কোল ঘেঁষে ছুটতে থাকো
উদ্ভ্রান্তের মত।
তোমার এই অভিসারের ছবি ভেসে যায়
দূরে বহু দূরে।
মিশে যায় শিশির ভেজা ঘাসে।
তোমার স্নেহে ভিজে আমি
খুঁজি তোমার মুখ।
তোমার কাছে পূর্ণিমা ভিক্ষা করি।
অনায়াসে তোমার কপালের চুল সরায়ে
দেখি – তোমার কপালের কালো টিপ
ঝরে পড়ে শাড়ীর গভীরে।
তোমার গ্রীবাদেশ থেকে বক্ষস্থল হয়ে কাঁকাল
পর্যন্ত আমি খুঁজেছি তোমায়।
ঝড়ের মুখোমুখি তুমি।
তোমার আঁখিপল্লবের রহস্য আমার জানা নেই।
রুচি বোধের ব্যামোয় আতঙ্কিত তুমি
তোমার এই ইচ্ছা অনায়াসে ছিল না
কোন ভালোবাসা।তোমার ওষ্ঠে ছিল বিষ।
আমি নীল হয়েছি।


আমার এই অন্ধ ভালোবাসা
মৃগ শিশুর মত খেলা করে
তোমার প্রাঙ্গনে।
রাতের কোন লোকাল ট্রেনের কামরায়
বসে তুমি ভাবো-ট্রেনের গতির সঙ্গে
পাল্লা দিয়ে লাম্পোস্টের বাতির মত
ছিটকে আসে দুঃখগুলো।
দুরন্ত মৃত্যুকাল ছুঁয়ে যায় তোমার
দু’চোখের বিরহ বেদনা।
অরন্যের দুঃখগুলো ঝড় হয়ে ফিরে
আসে তোমার জীবনে।
তোমার পুরনো সংসারে।