কত দিন তোমার মুখ দেখি নি
বিশালাক্ষী রাত্রির কিনারে দাঁড়িয়ে
বিধ্বস্ত অরন্যের মত আমি বেসামাল।
      ক্ষীণদৃষ্টিতে দৃশ্যমান হয় না
তোমার মুখ—
সব কিছু শান্ত হলে আমার একাকিত্ব
আমাকে টেনে নিয়ে যায়
তোমার গ্রামের পথে।
সায়নী তুমি ভেবো না
তোমার এই প্রত্যন্ত গ্রাম
কুটিরের সারি, ক্ষয়ে যাওয়া মানুষের
এই ম্লান মুখ।
সব নিয়ে একাকার লালমাটির মল্লারপুর।
অনায়াস দক্ষতায় কে যেন এঁকে দেয়
তোমার চিত্রমালা।
আমি লুকিয়ে রাখি অতি সংগোপনে
তোমার প্রতিকৃতি।
এই গোধূলিবেলায় চেয়ে দেখি
পায়ে পায়ে এগিয়ে আসে
তোমার সোহাগ মাখা হাতের ছোঁয়া।
অজয়ের বাঁকে দুকূল ছাপিয়ে
যখন বৃষ্টি নামে-
আমার স্বায়ত্বশাসনের বাঁধ ভেঙ্গে
জেগে ওঠে মৈথুনকাল।
আনত মুখে তুমি জাপটে ধরো
শিরীষের ডাল।
প্রবল তুফান ওঠে তোমার মনে
বাঁক ফিরে ঝুকে দেখি
শ্রাবনের অন্ধকার স্রোতে
জেগে ওঠে সায়নীর হলুদ সকাল।