শরীরে ক্ষত চিহ্ন বুকে নিয়ে
নিঃশব্দে হেঁটে যাও শব্দের গভীরে।
তোমাকে দেখে বোঝা যেত না
তুমি ফুলের ঘ্রানের চেয়েও
এত কাছাকাছি আসতে পার।
হিমের হলুদ হাওয়া গায়ে মেখে
বসন্তের ফুল ফুটিয়েছিলে—
শিশিরের জলে ভেজা ঠোঁটে ছিল
তোমার অভিমান।
তোমার এত নিকটবর্তী হয়েও আমি
তোমার কাছে প্রকৃত অন্ধের মত
কুসুমকোরক হতে পারিনি।
অন্ধকার থেকে আরও গভীর অন্ধকারের দিকে
হাত বাড়ায়।
আমার চতুর্দিকে উড়ে আসে
তোমার যত স্বপ্ন সাধ।
কুয়াশার চাদর সরিয়ে দেখি
তোমার হরিণী চোখ।
আকাশভর্তি নীল জলে ডুবে যায় দিনান্তের সূর্য।
বহুদিন পর তুমি আবিষ্কৃত হও
আমার কাছে রজনীগন্ধার মালায়।
সময় ফুরিয়ে যাবে, শুধু তোমার শব্দগুলো
সারাজীবনের মত আমার কবিতায় শুয়ে থাকবে।
কোনদিন যদি জিজ্ঞাসা করতে –
‘ তুমি কি আমায় ঈর্ষা কর।’  
একটি দীর্ঘ ছায়া হয়ে আমি
ক্ষমা চেয়ে নেব।
ভালোবাসার শৃঙ্খল থেকে তোমাকে মুক্তি দেব।
অনেক রাত অবধি আমি
তোমার ছায়া দেখি কৃষ্ণচূড়ার ডালে।
যেন অশরীরী স্বপ্ন–বিহ্বলতা ফুটে ওঠে অতীব আনন্দে
আমার এ শূন্য প্রানে রিক্ত হৃদয়ে।
প্রিয় সোনাঝুরি গাছের নীচে বৃথা তোমায় খোঁজা
তাই সাজি ভরে আপন মনে দিই গো তোমার পূজা।