একটা সময় ছিল যখন আমি
কাউ কে ভয় করিনি।
তোমার হাত ধরবো বলে
আমি পার হয়ে এসেছিলাম
হিংস্র জানোয়ার আর
কুটিল শ্বাপদের।
১৯৮৪ সাল- যেবার ইন্দিরা গান্ধী হত্যা
হয়েছিল। আমার বেশ মনে পড়ে-
তোমার স্কুল থেকে দৌড়ে পালিয়ে আসা।
রাস্তায় বোমাবাজি আর জ্বলছিল ট্রামগুলো
আমি সেদিনও ভয় পাই নি।
আজ আমি ভয় পাই আমার নিজেকে
আমার বুকের ভিতর
কেবল ছট ফট করে এক হতাশা
বিচূর্ণ বিশ্বাস।
ব্যর্থ জীবনের প্রতিনিয়ত সংগ্রাম।
আজ আমি ভয় পাই আমার নিজেকে
আমার চারিদিকে – কেবল দাঁড়িয়ে আছে শুন্যতা ।
আর আমার দেহের মধ্যে বাস করে
---- ভয়ঙ্কর কাল ব্যধি।
জীবনের বৈতরিনী পার হব বলে
তোমার হাত ধরেছিলাম।
ভালোবাসার বেড়াজাল কেটে
বেরিয়ে গেল আমার সত্তা।
সহবাস মরন জ্বালা
কোন কিছু আমাকে স্পর্শ করে না।
আমি খুঁজে বেড়াই আমার সত্তাকে
মরুভূমির প্রাগৈতিহাসিক ধুলোয়
ক্লান্ত সৈনিকের মত আমি বিধ্বস্ত
বিবশ আমার জীবন।
আমার ভয় হয় –
জীবন কি আবার ফিরে আসবে
নতুন শতাব্দীর ঊষালগ্নে।