বৃষ্টিতে ভেজা বাতাসের হাত ধরে
আমি হেঁটে যায় তোমার গলিপথে —
দেখি স্তব্ধতা জমে আছে কুশলী অক্ষরের মত
তোমার অন্ধকার মনে।
জলের শীতল ছোঁয়ায় উন্মেষ এল না
তুমি কি জানো ক্ষুধার কাছে
ধরণীর স্বপ্ন মূল্যহীন।
অনাদি প্রত্যূষ তুমি
কি নামে ডাকলে সাড়া দেবে।
শীতার্ত নিরুৎসাহিত তুমি
ক্লান্ত চোখে ঝরে পড়ে শেষ নীরবিন্দু।
যে বাসনা পুষেছিলে মনে
বিরহী উদ্ধত ঢেউয়ের মত আছড়ে পড়ে বুকে।
যে আত্মার অন্তরালে থাকে চিরতৃষ্ণা প্রেম
স্বতোলব্ধ সংসারে তাকে সাড়া দাও।
কবোষ্ণ সুপ্রীতি দাও।
অঘ্রানে হিমে আর্ত রাত এলে-
সারারাত শিশিরের পাতা ঝরে
অন্ধকার কেঁদে ওঠে।
শাখার বিস্ময়ে অরন্য হয় উদ্বেল।
তুমি উড়ে আসো শুকের কাহিনী নিয়ে
স্বপ্ন আনো সবুজ বুকে।
শ্মশান চাঁপার নীচে বহ্নিহীন কাঠ
জ্বালিয়ে দাও—
হাড়মাস কালি করা দিন
রক্তমাংস ঝলসানো দিন
ব্যর্থকাম জ্বালা
তোমার চোখের নীল আলোয় জ্বলে উঠুক
ছয় ঋতুর প্রনয় গাঁথা
ওজস্বী তৃষ্ণার ঢেউ এ সাড়া দাও।
সোহাগী বাতাসে আছে ভালোবাসার উচ্ছ্বাস
সাড়া দাও তুমি প্রেমের গূঢ় উল্লাসে।