শেষ বিদায়ের আগে আমি
তোমার বাড়ীর পাশে কৃষ্ণচূড়া গাছটার
    নীচে দাঁড়িয়ে আছি।
সমস্ত আলো নিভে যাওয়া পর্যন্ত
আমি আমার একাকিত্ব নিয়ে বসে থাকি।
অধিকারহীন কান্নায় ভিজে যায়
প্রার্থনারত আমার দুই হাত—
আমি প্রতিরাতে শুনি প্রমিথিউসের করুন সুরে
তুমি বাজাও ভায়োলিন।
তোমার বিষাদের সুরে ভেসে যায়
বিশ্বাসের আধার।
নির্জনতার আঁধারে জমাট বাঁধে বুকে
বিষাদের কথামালা।
তোমার রূপবতী নদীর পাড় ভেঙ্গে
উঠেছে যে ঝড়।
দিকভ্রান্ত মাঝির মত পথ হারায় আমি।
আমার শূন্য বুকের ভেতর
উঠে আসে দীর্ঘশ্বাস।
ঈর্ষার আকাশ জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে বেদনার রং
নৈঃশব্দের হাওয়ায় হারিয়ে যায় জীবনের সোপান।
পাতার রং হলুদ হলে ঝরে যায় বৃন্ত থেকে
তেমনই তুমি বুক থেকে ছিঁড়ে ফেলো
হলুদাভ ভালোবাসা।
ধূসর স্বপ্নগুলো অকালে ঝরে পড়ে।
বিরহের আস্ফালনে তোমার
পোয়াতি ভালোবাসার ঘটাও অকাল গর্ভপাত।
তবুও অন্তহীন বাতাস আঁকড়ে
আলোর ফল্গুধারা বয়ে যায়।
অন্তর্নিহিত প্রবাহে বিচলিত হয়
সলজ্জ প্রেম।