বিষন্ন এ পৃথিবীর বিহ্বলতা ছিঁড়ে
কবে তুমি এসেছিলে অঘ্রানে এই শীতের রাতে।
তখনও কলরব উঠেছিলো জীবনে তোমার।
বয়ে যাওয়া হলুদ নদীর মত স্বচ্ছ প্রবাহতায়।
জীবন কেটেছে তোমার ব্যথিত নীরবতায়।
অধোবদনে তুমি চেয়ে থাকো
ফেলে আসা জীবনের দিকে —


ঝাউয়ের বনে দোলা দিয়ে উঠেছিলো মন
শ্বাশত সূর্যের তীব্রতায়।
বিশুষ্ক তৃণের মত করুন মুখ নিয়ে
হাজারও কথার ফাঁকে
মনে কি পড়ে তোমার প্রেমিকের
ম্লান নিঃসন্দ মুখ।
চুপিসারে নেমে ছিল তোমার চোখের পাতায়
শিশিরের জলে ভেজা স্থায়ী প্রেমের করুন আশ্বাস।
তোমার প্রৌঢ় হৃদয়ে আছে নীরব ভালোবাসা।
তোমার ধূসর দৃষ্টিতে ভেসে আসে
গোলাপের জলে ভেজা নিবিড় জল ছল
অধোবদনের কথা।
কত দিন কত রাত
কত ক্লান্তি কেটেছে তোমার
কত উচ্চকিত উল্লাসে।
কত রঙ বদলেছে জীবনে তোমার,
মুঠি মুঠি আশা-ভালোবাসায়
ভরেছিল আঁচল তোমার।
আজ এতদিন পরে নিজেকে গুটিয়ে
নিয়েছে যেন কোন দুর দ্বীপে।
মনের হাজারও দংশনে নীল হয়ে যাওয়া
কোন কবির কাব্যের মত
নীলপদ্ম হয়ে বেঁচে থাকো অধোবদনে।