এ কোন জীবন দিলে তুমি দিশাহীন
স্পর্শ করে সরে থাকো দূরে—
আজন্ম উদাসীন। শীতার্ত সময়ের
পাশে একটু একটু শেষ হয় দিনযাপনের খেলা।
বিবর্ণ ধূসর স্মৃতির মাঝে জমে আছে
বিষাদের মেঘ।
কতটুকু লেগে থাকে পাখীর ডানায়
জীবনের মায়া।
তোমার ঠোঁটের প্রান্তে জমে আছে
ক্লান্তিহীন জড়তা।
সব স্তব্ধতার শেষে
আমি যেন ধ্যানস্থ কোন পুরুষের মত
নতজানু নারীর প্রতি।
আমার অরন্যগাঁথার দিনগুলো
আর রাত জাগা তারাদের সাক্ষী রেখে
সমর্পণ করি আমার ভালোবাসা।
তুমি আদিম নিষাদ রমণী
তোমার ভাঙ্গাচোরা রুক্ষ শরীরে
ভয়ানক ভালোবাসার ক্ষত।
হিংস্র বাঘিনীর মত আছড়ে পড়ে
আমার শরীরে—
আমাকে ভেঙ্গেচুরে করে চুরমার।
সব স্তব্ধতার শেষে
আমার সর্বংদেহ আনন্দে
জন্ম নেয় অজস্র বর্ষণ।
তোমার নাভিমুল ছুঁয়ে থাকে আমার
মরন চুম্বন। মুগ্ধ বনপথে ছুটে
যাওয়া হরিণীর মত
প্রলয় ওঠে তোমার শিরাময়- তীব্র কাম।
এই গোপন অভিসারে
মধুর পরকীয়া স্পর্শ করে যোনি।