মেঘে মেঘে বেলা গড়িয়ে যায়
নিরুৎবিগ্ন তুমি শুয়ে থাকো চোখে
সুখ স্বপ্ন নিয়ে—
অনন্ত মাঠের মত পড়ে আছে
ভালোবাসার বিশ্বাস।
প্রশাখার অন্ধকারে জ্বলে ওঠে বুনোফুল
কোথায় পথের শুরু?
কিছু নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন উঁকি মারে মনে—
‘চড়ুই পাখীর পিছল ডানার মত
আমার খেয়াল খুশির আগুন ফাগুন’
নাকি তুমি নিজেই চাও নি
লোনা সমুদ্রের ঢেউ কাছে আসুক
ভাসাক ডোবাক।
কিম্বা তুমিই ভয় ভাবনায়
বিবমিষায় দূর মেপেছ নিজেকে।
সমুদ্রে মিশবার আগে স্রোতস্বিনী তুমি।
আঘাতে আঘাতে ভেঙ্গেছো তোমার
ঈপ্সিত ভালোবাসাকে।
সমুদ্রও জানে কোন কুমারী নদী কাছে আসে না।
সব নীরবতা ভেঙ্গে একা একা এই ফাল্গুন মাসে
তোমার অকৌমার্য তরঙ্গ অভিসার হেঁটে যায় সমুদ্রের পাশে।
তুমি শঙ্খমালা নারী এ পৃথিবীর –
তোমার শরীরে ফুটে ওঠে অকালবোধনের চিহ্ন।
সেই সব জলীয় দিন পার করে
দিব্যি আছো আমার চোখের পাশে।
তোমার চোখের পলক আর ছোঁব না
অনেক রাতের নিঃস্ব প্রহর শেষে ।
এই জন্মে তোমার দ্বিধার অনেক আগে
অর্জিত এক এবং অন্তিম ভালোবাসার
মোহ বেলুন আমি ওড়াব নীল আকাশে।