রাতের অন্ধকারে জেগে ওঠে আমার
সুদূর অতীত।
সুরের আভায় আন্দলিত হতে হতে
জলতরঙ্গে ভাসিয়ে দিই তোমার ইচ্ছাগুলো।
জীবন যখন পুষ্পলতায় আল্পনাময়
স্বপ্নতারায় ভেসে ওঠো তুমি সায়নী।
তুমি আমাকে বিশ্বাস করতে শেখালে
আমি আমার বন্যভুমি উজাড় করে বিশ্বাস করলাম।
তুমি আমাকে ভালোবাসতে শেখালে
আমি তোমাকে ভালোবাসলাম।
আমার দু’চোখে তুমি স্বপ্ন ভরে দিলে
হাজার প্রজাপতির ডানা নিয়ে আমি
উড়ে গেলাম তোমার আকাশে।
তুমি আমায় টেনে এনেছিলে ঐ নীল দিগন্তে
অপার তৃষ্ণা নিয়ে যখন তুমি আমার ঠোঁট
ছুয়েছিলে —
তোমার ছোঁয়ায় ছিল দিগন্তের হাতছানি।


সায়নী তোমার বুকে ছিল
এক নদী তীব্র ভালোবাসা।
তোমার স্ফুরিত ঠোঁটের শীৎকারে ছিল
আকণ্ঠ তৃপ্তির আনন্দ।
প্রেমপালিতা চঞ্চল হরিণীর মত
আমি আবিষ্কার করি তোমার প্রনয় কথা।
আমার সমগ্র স্বত্বা জেগেছিল উন্মীলিত
চোখ মেলে—
তোমাকে দেখেছি চির সবুজ পল্লবিত
শাখায় শাখায় ফুটে থাকা ফুল।
আকণ্ঠ ভালোবাসা পিপাসায় মাতাল হই আমি।
এসো এই বারিষনে বুকের কোরক ভেঙ্গে
গড়ে তুলি সমুদ্র বিলাস।
সায়নী তোমার উদীপ্ত ইচ্ছার কথা মনে হলে
আমি হাজার আলোকবর্তিকা নিয়ে তোমায় খুঁজি।
তোমার সেই অনুচ্চারিত অঙ্গীকার
হারিয়ে যায় বিশাল মরুভুমিতে।