আমাদের এই নিত্য কোলাহল জীবনে
প্রবাহিত নিবিড় তরঙ্গে
একে একে ফেলে আসা দিনগুলি গাঢ় হয়
গোধূলির দিগন্তরেখায় ভেসে ওঠে
তোমার বিষণ্ণ ক্লান্ত মুখ।
বৃষ্টি ভেজা উঠোনে এসে দাঁড়িয়ে
আছো অভিমান নিয়ে।
তোমার রোমকুপের বাসা বাঁধে
মন খারাপের ঢেউ।
তবুও তুমি এক বিশুদ্ধ রমণী।
দ্বিধা ভরে এদিক ওদিক
ছোট খাট সাংসারিক কাজ।
শরতের আগমনী সুর বেজে ওঠে মনে
ঘট পাতো আম পাতা দিয়ে
ঘরের ঝাড় পোঁছ কর।
পর্দা টাঙ্গাও জানালায়। সংসার সাজাও।
সফল জীবনে তুমি অসফল হলে
গোপন বারতা ছিল কি জলের কাছে!
স্বামী ছাড়া হয়ে তুমি একা হলে।
বিম্ববতী পাতায় পল্লবিত হয়েছিল একদিন
তোমার ঋতুমতী প্রেম।
দীঘির জলের মত অতল। পুষ্প প্রসবিনী।
একটু একটু করে তোমার মনের ভাষা
বদলে যায়। অস্থির তুমি
ভাষাহীন যন্ত্রণা নিয়ে তুমি আমায় কিছু
বলতে চেয়েছিলে।
রাত গভীর হলে চারুকেশী তুমি জেগে ওঠো।
সারা দেহে আঁচড় কাটে শিহরিত উত্তাপ।
পিছনে ফেলে জীবনের সেইসব
রক্তক্ষরণের দিন। সময়ে সময়ে ছিঁড়ে
আনো ধূসর পাণ্ডুলিপির খসড়া।
লিখে রাখো তোমার প্রাত্যহিক জীবন-গাঁথা।
কাশ বনে ফুল ফোটে। বিজয়ার গান
শোনা যায় দূরে। তোমার মনের চারপাশে
ভিড় করে তোমার স্মৃতির মেঘেরা।
স্বপ্নের আবরনে তোমাকে টেনে নিয়ে যায় দূরে
অসীম শুন্যের মাঝে, যেখানে তোমার
জ্যোতির্বলয়ে ঘোরাফেরা করে
তোমার জন্ম প্রতারকের মুখ।